বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত রবিবার উলুবেড়িয়ায় ফেরার পর সঞ্জয়ের এই সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বিধায়ক পুলক রায়। এদিন সঞ্জয়বাবুর হাতে পুষ্পস্তবক, মিষ্টি ও উপহার তুলে দেন বিধায়ক।
গত আগস্ট মাসে ৪৮টি বিষয়ের উপর আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিযোগিতায় পৃথিবীর ৬৫টি দেশ যোগ দেয়। ভারত থেকে সঞ্জয় সহ আরও ৪৭ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় সঞ্জয়ের বিষয়বস্তু ছিল ‘ব্রোচ’। এই কাজের জন্য সঞ্জয়কে দেওয়া হয়েছিল ৪ দিন ২২ ঘণ্টা সময়। স্কিল ডেভেলপমেন্টের এই প্রতিযোগিতা আসলে দক্ষতার মান নির্ধারণের ওলিম্পিক। সব্বোর্চ্চ ২১ বছর বয়সের যুবক যুবতীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। দুই বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর যেমন রাশিয়া এর আয়োজন করেছে, তেমনই ২০২১ সালে চীনের সাংহাই এবং ২০২৩ সালে ফ্রান্সে বসবে এই আসর।
সঞ্জয় বলেন, ১৩ বছর আগে তাঁর পিসেমশাইয়ের হাত ধরে বেঙ্গালুরু গিয়ে তিন বছর সেখানে হাতে কলমে সোনার গয়না তৈরির কাজ শিখি। এরপর ২০১৫ সালে প্রথম নিজের হাতে সোনার কানের টাপ তৈরি করি। পরে বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। স্থানীয়ভাবে কয়েকটি প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার পরে ২০১৭ সালে আবুধাবিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে জুয়েলারি বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান সঞ্জয়। তবে সেবার সাফল্য মেলেনি। অষ্টম শ্রেণী পাশ সঞ্জয় জানান, ভবিষ্যতে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের এই কাজ শেখাতে চান। স্বভাবতই ছেলের এই সাফল্যে খুশি সঞ্জয়ের বাবা। পেশায় পান বরোজের শ্রমিক প্রসাদ প্রামাণিক বলেন, আমি চাই ছেলে (সঞ্জয়) জীবনে আরও উন্নতি করুক।