সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে খবর এসেছে, গাছ উপড়ে গাড়ির উপর পড়েছে। গাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে ছিলাম। গাছ বা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ার অভিযোগ যেসব জায়গা থেকে এসেছে, পুরকর্মীরা সেখনে গিয়ে সেগুলি কেটে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কলকাতা পুলিসের তথ্যানুযায়ী, শনিবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ তপসিয়া হিন্দু কবরস্থানে গাছ ভেঙে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন লালবতী মল্লিক (৮৫) নামে এক বৃদ্ধা। ওই কবরস্থানের ভিতরেই তাঁর ঘর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশালাকার একটি গাছ ভেঙে পড়ে ওই ঘরটির উপরে। তাতেই ওই বৃদ্ধা আটকে পড়েন। পরে পুরসভা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিইএসসি, পুলিসের লোকজন ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান।
আলিপুর রোডে একটি ভারী পণ্যবাহী গাড়ির উপরে গাছ ভেঙে পড়ে। তাতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আনন্দপুর থানা এলাকার অধীনস্থ ই এম বাইপাসে পার্কিং করে রাখা একটি ট্যাক্সির উপরে গাছ ভেঙে পড়ে। তাতে ট্যাক্সিটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, দু’টি ঘটনাতেই গাছ কেটে গাড়িগুলিকে বের করে নিয়ে আসা হয়। বিপর্যয়ের রাতে শহরে দু’টি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। যদিও তাতে কেউ হতাহত হননি। জোড়াসাঁকো থানার অধীনস্থ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ির চিলেকাঠার ঘর এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেচু চ্যাটার্জি রোডে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ধসে পড়ার পর বাড়ির বাকি বিপজ্জনক অংশগুলি সোমবার পুরকর্মীরা গিয়ে ভেঙে দেবেন।
এদিকে, নিকাশি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার টানা বৃষ্টিতে শহরের বেশ কিছু অংশে সাময়িক জল জমেছে। যদিও পাম্পিং স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখায় সেই জল দ্রুত নিষ্কাশিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুর আধিকারিকরা। পুর তথ্যানুযায়ী, শনিবার দুপুর ২টো থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন এলাকায়। প্রায় ৭৫ মিমি বৃষ্টিপাতের জেরে এই এলাকার বেশ কিছু অংশে জল জমে যায়। উত্তরে মানিকতলায় ৬৪ মিমি, বীরপাড়ায় ৬৮ মিমি, বেলগাছিয়ায় ৬১ মিমি, ঠনঠনিয়ায় ৬৭ মিমি, পামার বাজারে ৬৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে উত্তর কলকাতার বেশ কিছু অংশ গভীর রাত পর্যন্ত জলমগ্ন হয়েছিল। অন্যদিকে, দক্ষিণের তপসিয়ায় ৬৫ মিমি, যোধপুর পার্কে ৬৪ মিমি, কালীঘাটে ৫৯ মিমি, কামডহরিতে ৬২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বেহালার ফ্লাইং ক্লাব পাম্পিং স্টেশন এলাকায় ৪৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বেহালার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ফের জল জমে যাওয়ায় রবিবার ভোর পর্যন্ত মানুষ বহু সমস্যায় পড়েন।