সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র সদনের টিকিট কাউন্টারে ফ্রি পাস নেওয়ার জন্য মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। কখনও সেই লাইন প্রায় নন্দনের মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছিল। দুপুরের দিকে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছিল খাবারের স্টলে। আর সেলফি জোনে সেলফি তোলা তো ছিলই। মাঝখানে একবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু তাতে কলকাতার চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকদের দমানো যায়নি। আদিত্য কৃপালিনীর ছবি ‘দুর্গা অউর হিরো’ দেখার জন্য রবীন্দ্র সদনের বাইরে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে আলোকিত নন্দন চত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে। একতারা মঞ্চে সিনে আড্ডাতে এদিনের আলোচনার বিষয় ছিল ‘সুরকার না সিঙ্গার’। অংশগ্রহণ করেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, শ্রীকান্ত আচার্য, জয় সরকার, ঊষা উথুপ, ইমন চক্রবর্তী, দুর্নিবার সাহা, সুরজিত্ চট্টোপাধ্যায় এবং উজ্জয়িনী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। আলোচনা সভা শুরুর আগে উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের গান নিয়ে ক্যুইজ করা হয়েছে।
উত্সবের উদ্বোধনের দিন অমিতাভ বচ্চনের আসার কথা থাকলেও, অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেনি। শোনা যাচ্ছিল, অমিতাভ নাকি একটি ভিডিও মেসেজ পাঠাতে পারেন। তবে ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর মিত্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরকম কোনও খবর তখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে নেই। এদিন বেশ কয়েকটি ছবি নিয়ে দর্শকদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তার মধ্যে অন্যতম তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রোম রোম মে’। এদিন তন্নিষ্ঠা সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবে তাঁর এই ছবি নির্বাচিত হওয়ায় স্বভাবতই তিনি খুশি। এই প্রথমবার কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবে এলেন তন্নিষ্ঠা। বলছিলেন, অনেক চলচ্চিত্র উত্সবে গিয়েছি। কিন্তু এখানকার মতো এত সুন্দর উৎসব আর কোথাও দেখিনি। তাঁর কথায়, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হলে এমনটাই হওয়া উচিত। কিন্তু যে মানুষটিকে নিয়ে মানুষের উত্সাহ ছিল সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন রাখী গুলজার। রাখীকে একটিবার দেখার জন্য উত্সাহী দর্শকরা ভিড় করতে শুরু করেন বিকেল থেকেই। শনিবার তাঁর অভিনীত ছবি ‘নির্বাণ’ চলচ্চিত্র উত্সবে দেখানো হয়। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছবির পরিচালক গৌতম হালদার, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তী। চলচ্চিত্র উত্সবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। সন্ধ্যায় গৌতম ঘোষের ‘রাহগীর’ ছবিটি দেখার জন্য দর্শকের উৎসাহ ছিল লক্ষ্যকণীয়।
সন্ধ্যায় রাজের সঙ্গে দেখা করার পর ভিআইপি লাউঞ্জে গৌতম ঘোষের সঙ্গে খোশমেজাজে পাওয়া গেল প্রসেনজিতকে। তাঁকে সরিয়ে দিয়ে রাজকে ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপার্সন পদে নিয়ে আসার কারণে ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষকে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রসেনজিতের অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে অনেকেই এই ঘটনাকে চিহ্নিত করেছিলেন। নিমেষে সমস্ত মান-অভিমান বোধহয় ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল। চলচ্চিত্র উত্সবের এর থেকে ভালো সেলিব্রেশন আর কীই বা হতে পারে!