গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ খড়দহের শান্তিনগর ২ নম্বর আনন্দনগর এলাকায় লাইনের ধারে বস্তির এক মহিলা ময়লা ফেলতে এসে ফাটল দেখেন। ফাটল দেখে তৎক্ষণাৎ ওই মহিলা প্রতিবেশীদের জানান। ফাটলের সামনে জড়ো হন এলাকার মহিলারা। একজন দৌড়ে খড়দহের স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে খবর দেন। স্টেশন মাস্টারের ঘরে থাকা রেলকর্মীরা জানিয়ে দেন, ‘লোক গিয়েছে।’ কিন্তু, স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থলে তখনও কোনও রেলকর্মী পৌঁছাননি। সেই সময় আপ লাইনে শিয়ালদহ থেকে বারাকপুর লোকাল আসছিল। মহিলারাই লাল গামছা দেখিয়ে বারাকপুর লোকাল দাঁড় করান। ট্রেন থেকে নেমে আসেন গার্ড ও চালক। তাঁরাই খবর দেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। খবর পেয়ে রেলকর্মীরা আসেন। লাইন মেরামতির পর সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে আপ ১ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ নম্বর আনন্দনগরের বাসিন্দা সুমিত্রা দাস বলেন, ময়লা ফেলতে এসে লাইনে ফাটল দেখে একজন। আমাকে খবর দিতেই স্টেশন মাস্টারকে জানাতে বলা হয় একজনকে। তিনি খড়দহ স্টেশন মাস্টারের ঘর থেকে ফিরে এলেও কোনও রেলকর্মীকে দেখা যায়নি। পরে আমরাই গামছা দেখিয়ে বারাকপুর লোকাল দাঁড় করিয়েছি। এই ফাটলের উপর দিয়ে ট্রেন গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ট্রেনের যাত্রীরা যেমন দুর্ঘটনার মুখে পড়তেন, তেমনই আমাদের বস্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হত। অনেকের প্রাণহানি ঘটত।
বারাকপুর লোকালে থাকা যাত্রী সুপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাগ্যিস মহিলাদের নজরে এসেছিল। নইলে আমাদের ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ত। তাঁরাই আজ আমাদের সকলের প্রাণ রক্ষা করলেন। রেল সূত্রের খবর, লাইনে অনেকটাই ফাটল দেখা গিয়েছিল। লাইন বেঁকেও গিয়েছিল। ফাটলের জেরে দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। অবশ্য অন্য আপ লাইনে ট্রেন চলেছে। যদিও আপ লাইন দিয়ে বারাকপুর লোকালের আগে কোন ট্রেন গিয়েছিল, তা নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন রেলকর্মীরা। স্থানীয় ও যাত্রীদের অভিযোগ, লাইন নিয়মিত দেখভালে গাফিলতি ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।