গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হ্যাঁ সে এক কাণ্ডই বটে। মোড়লপাড়ার দুধ ব্যবসায়ী সুশান্তবাবুদের বেশকিছু গোরু আছে। সেগুলির দুধ বিক্রিই তাঁদের পেশা। বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে শিখেছেন। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে তিনি দেখছিলেন রাজ্যের এক সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্যনেতা গোরুর কুঁজে সোনা আছে বলে জানিয়েছেন। তাতেই সুশান্তবাবুর মাথায় খেলে যায় গোরু মানে তাহলে সোনা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বুধবার তিনি একটি গোরু ও বাছুর নিয়ে সটান চলে যান চণ্ডীতলার স্বর্ণঋণ সংস্থার অফিসে। সেখানে গিয়ে গোরু বন্ধক রেখে টাকার দাবি করেন। এমন অদ্ভুতুড়ে দাবির মুখে সংস্থার কর্মীরা তখন বিষম খাচ্ছেন আর কী! তাঁরা সুশান্তবাবুকে ফিরিয়ে দেন। এরই বিহিত চেয়ে তাঁর পঞ্চায়েত অভিযান।
বৃহস্পতিবার গরলগাছার তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বলেন, সুশান্তবাবুকে তো সব বুঝিয়ে গোরুসহ ফেরত পাঠালাম। কিন্তু তারপর থেকে ফোনে গোরুর বদলে সোনার দাবিতে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। কেন যে নেতারা বক্তব্য রাখার সময় সাবধান হন না কে জানে! সুশান্তবাবুর সারল্য অবশ্য এখনও অটুট। বলেন, অত বড় লোক মিথ্যে বলবে। আমি তাই গোরুর সোনার বদলে টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু, ওরা দিল না। তাই প্রধানকে অভিযোগ করি।
আসলে গত সোমবার বর্ধমানে এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, দেশি গোরুর কুঁজে স্বর্ণনাড়ি আছে। যাতে সূর্যের আলো পড়লে সোনা তৈরি হয়। তাই গোরুর দুধ হলুদ। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্যোশাল মিডিয়ায় বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সেই কথা বিশ্বাস করেই গরলগাছার সুশান্তবাবু এলাকায় চর্চিত। ঘটনা শুনে হাসছেন জেলা তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। বলেন, আহা একজন অন্তত দিলীপবাবু কথা বিশ্বাস করেছেন, এটা কম কী!