গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
৪৮-তম বর্ষে তারা পুরনো জমিদার বাড়িকে তুলে ধরছে। ফাইবার, প্লাই দিয়ে গড়ে উঠছে জমিদার বাড়ির দালান। বিশালাকার থাম। প্লাস্টার খসে যাওয়া দেওয়াল, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া অন্দরমহল। বাড়ির প্রবেশদ্বারেই দুর্গা মণ্ডপ। বাড়ির ভিতর সাজানো হচ্ছে সত্যিকারের জমিদার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা আসবাবপত্র দিয়ে। চেয়ার টেবিল থেকে ঘর সাজানোর নানান জিনিসপত্র। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে দর্শনার্থীরা অবিকল জমিদারবাড়িই মনে করবেন। এই থিমে সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটির কর্তারা জানান, জমিদার বাড়িতে যে যে চরিত্র থাকে, সব চরিত্রই তুলে ধরা হচ্ছে। জমিদার বাড়ির গৃহকর্তার সঙ্গে সব সময়ের সঙ্গী রহমত। তিনিও পুজোয় অংশ নেন। পুজোর কাজ সেরে নামাজ পড়তে যান। পুজোতে সব আত্মীয়রা এসে জড়ো হন। একটি অডিও থিম থাকবে। তাতে চরিত্র গুলির কথাবার্তা শোনা যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুজোর ক’টা দিন নতুন নতুন টিজার প্রকাশ করা হবে কমিটির তরফে। উদ্বোধনে থাকবেন দুই অভিনেত্রী তথা এমপি মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান।
উদয়ন ক্লাবের সম্পাদক সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, এবার বাজেট ৫০ লক্ষ টাকা। পুরনো জমিদার বাড়ি গুলি হারিয়ে যাচ্ছে। সেটাই তুলে ধরছি আমরা। থিম ড্রামা ও থিম সং থাকছে। অডিও থিমও থাকছে। তাতে জমিদার বাড়ির চরিত্রগুলির কথোপকথন শোনা যাবে। এটাই এবারের অন্যতম আকর্ষণ। পূর্ব পানিহাটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি প্রতিযোগিতার ইদুর দৌড়ে নেই। আছে সাবেকিয়ানায়। ৭১-বছরে পদার্পণ করল এই পুজো। কয়েকটি পরিবার মিলে এই পুজো করে থাকে। কারও কাছে জোর করে চাঁদা আদায় করেন না কমিটির সদস্যরা। পাঁচ টাকা পর্যন্ত তাঁরা চাঁদা নেন। এবার মণ্ডপ পানিহাটির হলদে কালীবাড়ির আদলে এবং প্রতিমা হচ্ছে কলকাতার নাকতলার উদয়ন সংঘের প্রতিমার অনুরূপ। পুজো কমিটির সম্পাদক অর্পণ দত্ত বলেন, আমাদের পুজো অল্প বাজেটের। তবে সাবেকিয়ানাকে ধরে রেখেছি। এই অঞ্চলের অনেকেই কলকাতায় পুজো দেখতে যেতে পারেন না। সেকারণেই ঠাকুর নাকতলার উদয়ন সংঘের আদলে। জেলার ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য হলদে কালীবাড়ির আদলে মণ্ডপ। পুরনো জমিদার বাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। -নিজস্ব চিত্র