দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কলকাতা তথা গোটা রাজ্য তো বটেই, দিল্লি, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ আর ঝাড়খণ্ড থেকেও পুজোর আমন্ত্রণপত্র আসার বিরাম নেই নবান্নের ১৪ তলায় চিফ মিনিস্টার্স অফিসে (সিএমও)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুন মাস থেকে দুর্গাপুজোর আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি আসা শুরু হয়েছে। দিন যত এগিয়েছে, চিঠির সংখ্যা বেড়েছে ততই। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পুজো আয়োজকদের সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণ সম্বলিত রঙিন পুস্তিকা। পুজোর বাকি আর মাত্র ১৪ দিন। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে এখনও অব্যাহত বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের হয়ে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশ। তাঁরা চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন এবার তাঁদের মাতৃ আবাহনের উদ্বোধক হন। মুখ্যমন্ত্রী না এলেও, শুভেচ্ছাবার্তা পেলেও চলবে, এমন আব্দার প্রায় ছ’হাজার। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও আয়োজকদের আব্দার মেনে একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তায় সই করে চলেছেন মমতা।
উদ্বোধক হিসেবে গত বছর মহানগরীর নানা প্রান্তে প্রায় ৭৫টি পুজো মণ্ডপে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুজোর ‘ভাবনা সঙ্গীত’ (থিম সং) মুখ্যমন্ত্রী লেখেন একমাত্র তাঁদের আয়োজনেই — এহেন গরবে গর্বিত নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘ। ফাইলের পর ফাইলে চোখ আর পেন বোলানো আর রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ানোর ফাঁকেই সময় করে মমতা সুরুচির জন্য এবারও লিখে ফেলেছেন দশভুজা আবাহনের ভাবনা সঙ্গীত। এই নিয়ে পঞ্চমবার তাঁর লেখা আর সুরে তৈরি হচ্ছে মন্ত্রিসভার সহকর্মী অরূপ বিশ্বাসের পুজোর আবাহনী গান। গর্ব করার উপাদান রয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী ক্লাবেরও। উদ্বোধনপর্বে একমাত্র তাদেরই মাতৃমূর্তির চোখ আঁকেন যে মমতা!