দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেছেন, শহরের প্রায় সব পুজোর সঙ্গে আমি যুক্ত। আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। আর শারদোৎসবের মতো অনুষ্ঠানে আমরা মানুষের আরও কাছাকাছি যাই। তাই যে পুজো কমিটি আমাকে আমন্ত্রণ জানায়, আমি যাই। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমার বিধানসভা কেন্দ্র তো বটেই, আশপাশ এলাকার অনেক পুজো কমিটি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমি আছি। কেউ আমাকে সভাপতি বা কেউ প্রধান উপদেষ্টা পদে রেখেছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায় বলেন, উলুবেড়িয়ার প্রায় সব পুজোর সঙ্গেই আমি আছি। সব পুজো কমিটি আমাকে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি তাঁদের সব রকম সহযোগিতা করার জন্য পাশে আছি।
যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি (শহর) সুরজিৎ সাহা বলেন, এখনও পর্যন্ত হাওড়া শহরের ১২টি পুজো কমিটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা ওই পুজোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছি। একটি পুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহর আসার কথা রয়েছে। জেলা বিজেপি সভাপতি (গ্রামীণ) অনুপম মল্লিক বলেন, গ্রামীণ এলাকার ১৪টি পুজো কমিটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এনে তাঁরা উদ্বোধন করাতে চান। সেইমতো আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁদের আবেদন পাঠিয়েছি। রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দেবে, কে কোন পুজোর উদ্বোধনে আসবেন। তবে আরও অনেক পুজো কমিটির সঙ্গে আমরা যুক্ত আছি।
হাওড়া শহরে বেশ কয়েকটি বড় পুজো হয়। হাওড়া পুরসভা বিদায়ী বোর্ডের মেয়র পরিষদ সদস্যরা প্রত্যেকেই বড় পুজো করে থাকেন। কেউ কেউ আবার ওই ওয়ার্ডের একাধিক পুজোর সভাপতি পদে বসে আছেন। এছাড়াও কয়েকজন কাউন্সিলারও বড় পুজো করেন। তবে এতদিন তৃণমূলের হাতেই বড় পুজোর রাশ ছিল। এবার সেখান থেকে কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। উত্তর হাওড়ার কয়েকটি পুজোর ‘দখল’ বিজেপি নিয়েছে। সেখানে এতদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সভাপতি বা প্রধান উপদেষ্টার পদে ছিলেন। এবার সেখানে বিজেপি নেতারা ওই পদে এসেছেন। তবে মধ্য হাওড়ায় এখনও বিজেপি ততটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। আবার পুজো কমিটির উপর ‘চাপ সৃষ্টি’ করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় অনেক পুজো কমিটি সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে না বলেও বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিজেপি টাকার লোভ দেখিয়ে পুজোর দখল নিতে চাইছে। কিন্তু, পুজো কমিটিগুলি অনেক কষ্ট করে অনুদান সংগ্রহ করে পুজো করলেও বিজেপির টাকার লোভের কাছে মাথা নোয়ায়নি। তাই তারা বিজেপি নেতাদের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানায়নি।