কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে ৩টা নাগাদ রিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যরা রিয়াকে মনিগ্রামের শিশু বিশেষজ্ঞ সেবককুমার পালের কাছে নিয়ে যায়। তিনি পেটে চাপ দিয়ে শিশুটিকে পরীক্ষা করার সময় সে আচমকাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কিছু সময়ের মধ্যে শিশুটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। মৃত শিশুর মা ববিতা সরকার দীর্ঘ সময় মৃত শিশু কোলে চিকিৎসকের চেম্বারে বসে থাকেন। এরপর পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যায় পুলিস।
এদিন মৃত শিশুর পরিবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিস অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। বিকেলে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে মৃত শিশুর দেহ নিয়ে এলাকায় ফেরেন শিশুর পরিবারের সদস্যরা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত শিশুর দেহ নিয়ে বনগাঁ বাগদা রাস্তার চাঁদা গোঁসাইবাড়ি এলাকায় রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে অবরোধ করে। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করা হয়। এরফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মৃত শিশুর বাবা কৃষ্ণ সরকার বলেন, ঠান্ডা লেগে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসক সেবক পালের কাছে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক পরীক্ষার নাম করে মেয়ের পেটে প্রচুর জোরে টিপেছিল। সেকারণেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দোষী চিকিৎসকের শাস্তি চাই। চিকিৎসক সেবককুমার পাল বলেন, শিশুটিকে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় আনা হয়ে। চরম শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। হাসপাতালে রেফার করলে নিয়ে যেতে কমপক্ষে ৪৫ মিনিট সময় লাগত। রাস্তাতেই শিশুটির মৃত্যু হতে পারত। মানবিক তাড়নাতেই শিশুটির চিকিৎসা শুরু করি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ভিত্তিহীন।