কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সমাজে বিরুদ্ধ মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের নামে গায়ের জোর দেখানোকেই অগ্রাধিকার দিল— বৃহস্পতিবার যাদবপুরের ঘটনাকে বিঁধতে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিগ্রহ করেছে এইসব বামপন্থী পড়ুয়ারা। এর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। পাশাপাশি রাজ্যের পুলিস-প্রশাসন যে কতটা দুর্বল, এই ঘটনায় তাও প্রকট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। তাঁর মতে, যাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে তাঁরা যে স্বৈরাচারের পূজারি, এটাই প্রমাণ করলেন যাদবপুরের বামপন্থীরা।
বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তা করা মোটেই ঠিক কাজ নয় বলে মনে করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে একটা আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন বিজেপির মন্ত্রী। তা নিয়ে কারও আপত্তি জানানার থাকলে কালো পতাকা দেখাতে পারতেন। কিন্তু তাঁকে সেমিনারে যোগ দিতে দেওয়া হবে না এবং সেই উদ্দেশ্যে ঘেরাও করে রাখা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পাসে প্ররোচনা তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করেন সুজন। সোমেন মিত্র বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তা করা উচিত হয়নি। তিনিও পুলিস-প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ব্যবহার মোটেই আন্তরিক ছিল না বলে দাবি সোমেনের। এছাড়া পুলিসের সামনে যেভাবে ছাত্র সংসদ অফিস বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা ভাঙচুর করেছে, তা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার করুণ অবস্থাকে তুলে ধরেছে। অবিলম্বে ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এসইউসির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তরুণ নস্কর বলেন, রাজ্যপাল অতি সক্রিয় হয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করেছেন, তা উত্তেজনায় ইন্ধন জুগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের বাইরে পথ অবরোধ করে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে। একইভাবে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন লিবারেশন গোষ্ঠীর রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাচক্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও। তিনি বলেন, ঘটনার দিকে তাঁরা নজর রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে। এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব।