কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরসভার আধিকারিকদের কথায়, কলকাতা পুরসভার পেট্রল পাম্পগুলিতে অধিকাংশ কর্মীই বয়স্ক। বয়সের কারণে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে। এই টালবাহানার জেরে শেষ পর্যন্ত নিজেদের তেল-নীতিতেই পরিবর্তন করেছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, পুরসভার ছ’টি পাম্প ধীরে ধীরে বন্ধ করা হচ্ছে। বর্তমানে হাতিবাগান, রাজাবাজার, ধাপা, পামারবাজার, মৌলালি এবং গোরাগাছায় পুরসভার নিজস্ব ছ’টি পেট্রল পাম্প রয়েছে। পুরসভার নিজস্ব গাড়ি, বাস, ডাম্পার, লরি ছাড়াও বাইরে থেকে ভাড়া করা যে প্রায় সাড়ে চারশো গাড়ি রয়েছে, সেগুলি সবই এই ছ’টি পাম্প থেকে পেট্রল বা ডিজেল নেয়। এখানে কর্মরত বয়স্ক কর্মীদের উপরে পুরোপুরি ভরসা রাখতে না পেরেই বাইরের ভারত পেট্রলিয়ামের অন্তর্গত ১০টি পেট্রল পাম্পকে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার পর বেছে নেওয়া হয়েছে।
সাপ্লাই বিভাগের এক কর্তা বলেন, এই পেট্র কার্ড ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মতো দেখতে। এই কার্ডগুলি নিয়ে ওই ১০টি পেট্রল পাম্পে গেলে, সেটিকে সোয়াইপ করে দিনপিছু নির্ধারিত তেল দিয়ে দেওয়া হবে। কার্ডে লাগানো ‘ইলেকট্রনিক চিপ’-এর মাধ্যমে ওই গাড়ি কোথা থেকে তেল নিচ্ছে, কতটা তেল নিচ্ছে, তার বিস্তারিত তথ্য সাপ্লাই বিভাগের কাছে চলে আসবে। বর্তমানে সর্বনিম্ন ৫ লিটার সর্বোচ্চ ১৫ লিটার দিনপিছু তেল দেওয়া হয়। যেমন, পুরসভার ভাড়া বা নিজস্ব ছোট গাড়িগুলি দিনপিছু পাঁচ লিটার (ডিজেল) বা ছ’লিটার (পেট্রল) দেওয়া হয়ে থাকে। আবার মেয়র পারিষদদের গাড়ি দিনপিছু আট লিটার পেয়ে থাকে। মেয়রের গাড়িতে দিনপিছু ১২লিটার তেল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিনের হিসেবে তেল দেওয়া হয়ে থাকে প্রতি গাড়িতে।
বিভাগীয় এক আধিকারিকের কথায়, এতদিন নিজস্ব ছ’টি গ্যারাজ এবং সেন্ট্রাল গ্যারাজ থেকে তেল নেওয়া হচ্ছিল। এখনও কিছু কিছু গাড়ি সেখান থেকেই তেল নিচ্ছে। কিন্তু এতে পুর প্রশাসনের খরচ দিনে দিনে বেড়েছে। পুর তথ্যানুযায়ী, ২০১৪-’১৫ সালে পেট্রল ও ডিজেল মিলিয়ে পুরসভার খরচ হয়েছিল প্রায় ২৬ কোটি টাকা। ২০১৫-’১৬ সালে খরচ হয়েছিল ২৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। ২০১৬-’১৭ সালে খরচ হয়েছিল সাড়ে ২৭ কোটি টাকা। ২০১৭-’১৮ সালে সেই খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। খুচরো বিক্রির থেকে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে কিনলে ক্রয়মূল্যে একটা ছাড় পাওয়া যায়, তাই পেট্রল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে পুরসভার অর্থ সাশ্রয়ও হয়েছে। যেমন ২০১৭-’১৮ সালে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ৫২০ টাকা সাশ্রয় করেছে পুরসভা।