বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় কিছু ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কিন্তু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। আমরা স্বাস্থ্যদপ্তরকে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ করার জন্যে বলেছি। মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা দিতে ব্যানার, ফ্লেক্স দিয়ে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে। চণ্ডীতলাতে আমরা বিশেষ হেলথ ক্যাম্প করছি। একইসঙ্গে জ্বরে আক্রান্তদের জন্যে জেলার সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের পতঙ্গ বিশারদরা জেলায় সমীক্ষা করছেন। সেই রিপোর্ট এলে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হবে। বৃহস্পতিবারই জেলার সমস্ত নার্সিংহোম ও ল্যাবরেটরিকে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রতিনিয়ত জ্বরের রোগীদের নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ফলে, আমরা সতর্ক আছি। গত সপ্তাহ থেকেই জেলায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এই জ্বরের রোগীদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের সন্দেহ থাকলেও সরকারিভাবে ত স্বীকার করা হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সপ্তাহেই পোলবা-দাদপুরে একজন আশা কর্মী সহ তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ মেলে। এরপর বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও চারজন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চারজনই চণ্ডীতলা-১ ব্লকের বাসিন্দা। এই ব্লকেই কিছুদিন আগে সন্দেহভাজন এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। যদিও তার ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রাথমিক পরীক্ষাই করা হয়নি। তবে সেই এলাকাতেই ফের ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসন সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ, শুক্রবার সেখানে স্বাস্থ্যকর্তাদের একটি পদস্থ দল যেতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি গুরুতর বলে না মানলেও স্বাস্থ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জ্বরের রোগীদের ২৪ ঘণ্টা রক্ত সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে।