কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবার সকালে এলাকার কাউন্সিলার সত্যেন্দ্রনাথ দে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে একের পর এক বাসিন্দা গিয়ে কাকুতি-মিনতি করছেন। সত্যেন্দ্রনাথবাবু আশ্বস্ত করছেন তাঁদের। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে, জানেন না তিনিও। বললেন, প্রত্যেকে এসে আমায় ধরছেন। সব হারিয়ে এলাকার মানুষ, স্বর্ণকাররা আজ রাস্তায়। হোটেলে অনেককে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও ক্ষতিপূরণের টাকা বেশ কয়েকজন পাননি। তাঁদের বলেছি, তাঁরা টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই এলাকা শহরের বুকে স্বর্ণ ব্যবসার মূল এলাকা বলেই চিহ্নিত। আগে এখানে এই দিনে অলিগলিতে ভেসে বেড়াত বিশ্বকর্মার পুজোর গন্ধ, আজ তার জায়গায় শুধুই ভাঙা বাড়ির ধুলো। সত্যেন্দ্রনাথবাবু বলেন, আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে পুলিসেরও উপস্থিত থাকার কথা। তাঁর কথায়, বৈঠকে অনেক কিছু জানানোর রয়েছে।
এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়ি ভাঙার যন্ত্রপাতিতে মালা জড়ানো। বিশ্বকর্মার সঙ্গে পুজো করা হয়েছে সেইসব যন্ত্রপাতিকেও। সেখানে কেএমআরসিএল-এর এক শীর্ষ আধিকারিক বললেন, এদিন আমরা ভাঙার কাজ তেমন একটা করিনি। তবে যে বাড়িগুলি কার্যত লজঝরে হয়ে গিয়েছে, সেগুলি ভেঙে পড়েছে। এই বাড়ি ভাঙার কাজ কতদিন ধরে চলবে, কেউ জানে না। কারণ, এখনও বেশ কয়েকটি বাড়ির হাল অত্যন্ত খারাপ। সেগুলি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। সন্তোষ সাউ নামে এক বাসিন্দার কথায়, দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়ি ছেড়ে আমরা এখন হোটেলে। প্রতিদিনই একবার করে বাড়ির কাছে আসি। দেখি, কীভাবে বাড়িগুলি একের পর এক ভগ্নস্তূপে পরিণত হচ্ছে। আমরা সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গিয়েছি।