বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, ৭০টি বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২৭টি বাড়ি ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে ওই কমিটি। ক্ষতি না হওয়া বা অল্পবিস্তর ক্ষতি হওয়া ২৭টি বাড়িতে বাসিন্দাদের ফেরানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬টি বাড়ি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। কেএমআরসিএল-এর এক কর্তা বলেন, যে ২৭টি বাড়িতে বাসিন্দাদের ফেরানোর কথা বলেছে কমিটি, তার মধ্যে যেগুলিতে অল্প মেরামতি দরকার, তা করে দেওয়া হবে। তারপর পুরসভার অনুমোদন নিয়ে সেখানে বাসিন্দাদের ফেরানো হবে। যে বাড়িগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি, সেই বাড়ির বাসিন্দাদের আগে ফেরানো হবে পুরসভার মতামত নিয়ে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে।
সংস্থার ওই কর্তার বক্তব্য, যে বাড়িগুলি ভাঙা হবে, সেখানকার বাসিন্দাদের বিকল্প বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত তাঁরা অন্যত্র থাকছেন। পরে বউবাজারেই পাকাপাকিভাবে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সল্টলেকের দত্তাবাদের কয়েকজন বাসিন্দাকেও একইভাবে বিকল্প বাসস্থান গড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সংস্থা সূত্রের খবর, বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ক্ষতিগ্রস্ত বাকি বাড়িগুলিও পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তাতে মাটির উপরে যে খোলা জায়গা তৈরি হবে, সেই জায়গা দিয়ে গ্রাউটিং পদ্ধতিতে মাটি শক্ত করার কাজ করা হবে। আগামীদিনে ওই জায়গা দিয়েই টানেলে আটকে থাকা বোরিং মেশিনকে মাটির উপরে তোলা হতে পারে বলে খবর। এক কর্তার কথায়, টানেল কাটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, প্রথমে দ্বিতীয় টানেলটি শিয়ালদহ পর্যন্ত কাটা হবে। ওই টানেলের বোরিং মেশিনটিকেই প্রথম টানেলের বাকি অংশ কাটার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা চলছে।