পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও পুরসভার দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, তা এখনই বলা যাবে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদিও পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। কিছু লোক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তা এখনই বলা যাবে না। আমরা পুরসভায় এর জন্য বিশেষ সেল খুলেছি। আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। এই জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিশেষ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ঘুরে কোথাও জল জমে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছন। গত ডিসেম্বর মাসে বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে তাঁরা বেশ কয়েকবার পুরসভায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। অভিযোগ, বেতন না পেয়েই বহু কর্মী নিয়মিত বাড়ি বাড়ি যাননি। আর তার ফলে মশার উপদ্রপ বেড়েছে। সালকিয়ার ক্ষেত্র মিত্র লেনের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু উত্তর হাওড়া নয়, মধ্য হাওড়ারও কিছু কিছু এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। অধিকাংশ লোকজনই বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাই পুরসভার কাছে মোট কতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তার সঠিক হিসেব নেই। কিন্তু, স্থানীয় লোকজনের দাবি, বহু মানুষই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অবিলম্বে পুরসভা বিশেষ ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু হাওড়ায় ভয়াবহ আকার নেবে বলেই তাঁরা মনে করছেন।