গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর কয়েকটি মহকুমায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। প্রায় রোজই বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা বিজেপি’তে যোগ দিচ্ছিলেন। বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পর দলের মধ্যে হইচই শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র আপত্তি ওঠে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও বিজেপি’তে যোগ দিয়ে স্বস্তিতে নেই। এরপর থেকে বিজেপি’তে যোগদানের হিড়িক কিছুটা হলেও ধাক্কা খায়। শুরু হয় ঘরে ফেরার পালা। হালিশহর, কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, বনগাঁয় দলছুটরা ফেরত আসায় ফের পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। গাড়ুলিয়াতেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে তৃণমূল। সেই প্রক্রিয়ায় বিজেপি’তে যোগ দেওয়া ১২ জন সদস্যকে নিয়ে কলকাতায় হাজির হন হুগলির জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। হুগলির পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম তাঁদের দলে ফিরিয়ে নেন।
এবার চারটি পুজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, টাকা দিয়ে পুজো দখল হয় না। পুজো করতে হয় হৃদয় দিয়ে। পাড়ার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পুজো করতে হয়। আমাদের রাজ্যে তিনি আসবেন, আমরা ডাবের জল খাওয়াব। ওরা তো গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। অমিত শাহ তার ব্যতিক্রম নন, মানুষ সব জানে। তিনি যেভাবে হিন্দি ভাষা নিয়ে বলছেন, তাতে তাঁদের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা সব ভাষাকে সম্মান করি। সব ভাষার মর্যাদা পাওয়া উচিত। চম্বলের ডাকাত সহ যেভাবে বহিরাগতরা রাজ্য দখল করার নাম করে আসছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত। এনআরসি চালু নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন তাঁরা। মানুষ তার জবাব দেবে। মানুষের চেয়ে বড় শক্তি আর কিছু হতে পারে না।