কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-২’এর এক বাসিন্দা বলেন, তাঁদের আবাসনের উল্টোদিকে একটি নির্মীয়মাণ আবাসন রয়েছে। সেখানকার রাজমিস্ত্রিরা মঙ্গলবার প্রায় সারারাত তারস্বরে বক্স-ডি জে বাজিয়েছেন। একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের আওয়াজ বন্ধ করার কথা বললেও, কাজের কাজ হয়নি। এরপরে রাত ১২টার পরও আওয়াজ বন্ধ না হওয়াতে বাসিন্দারা থানায় ফোন করে খবর দেন। এমনকী বাসিন্দাদের একজন তাঁর ব্যক্তিগত পরিচিত নিউটাউন থানার পুলিসকর্মীকেও খবর দিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান।
ওই পুলিসকর্মী বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, টহলদারি গাড়ি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। গাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু, রাত একটা পর্যন্তও গাড়ি এলাকায় না যাওয়াতে বাসিন্দারা এরপরে বিধাননগর কমিশনারেটের কন্ট্রোল রুমেও ফোন করে সমস্যার কথা জানান। এক বাসিন্দা বলেন, কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিস তাঁকে বলে নিউটাউন থানার নম্বর দিচ্ছি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তখন ওই বাসিন্দা জানান, থানাকে আগেই জানানো হয়েছে, কোনও ব্যবস্থা হয়নি। তাই কন্ট্রোল রুমকে জানানো হচ্ছে। এরপরে কন্ট্রোল রুম থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু, রাত আড়াই পর্যন্ত এলাকায় শব্দ তাণ্ডব চললেও, পুলিসের কোনও দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। নিউটাউনের সেই বাসিন্দা বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটের এক শীর্ষ পুলিসকর্তাকে বিষয়টি জানান। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেই সময় কন্ট্রোল রুম এবং নিউটাউন থানায় কে বা কারা দায়িত্বে ছিল, সেবিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যদিও এবিষয়ে শীর্ষ কর্তা কিছু বলতে চাননি।
তবে এটা শুধুমাত্র নিউটাউন এলাকা নয়, বাগুইআটি, রাজারহাট, নারায়ণপুর এবং এয়ারপোর্ট থানা এলাকাতেও একইরকম সমস্যা দেখা গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বাগুইআটি মোড়ে মঙ্গলবার রাতেও যেরকম শব্দের দাপাদাপি লক্ষ্য করা গিয়েছে, বুধবার সকালেও পরিস্থিতি কোনওভাবে বদল হয়নি বলে অভিযোগ। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এক নং থেকে তিন নং গেটের মাঝে সাত-আটটা বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে। প্রত্যেকটা জায়গাতেই অত্যধিক জোরে মাইক-বক্সের উৎপাত নিয়ে অতিষ্ঠ সকলেই। যদিও প্রশাসনের কোনও হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। যদিও এবিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) কুনাল আগরওয়াল বলেন, এবিষয়ে তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি। এলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শব্দতাণ্ডব নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা জানান, বসতি এলাকায় রাত ১০টার পর মাইক-বক্স বাজার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ দেখা গেলেও, দিনের সময়ে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণও প্রয়োজন। সেবিষয়ে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।