পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রাথমিক অবস্থায় শেক্সপিয়র সরণী থানা ও লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াডের গোয়েন্দারা এই মামলার তদন্তভার নেন। তদন্তে নেমে শেক্সপিয়র সরণী থানার পুলিস পরিবারের দাবির ভিত্তিতে আরসালান পারভেজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের হাতে। কিন্তু ধৃত আরসালানের মুখমণ্ডলে সিলিকন বাইট-এর চিহ্ন না থাকা, সিসিটিভিতে তাঁর ছবি না মেলায় প্রথম থেকেই গোয়েন্দাদের মনে একটা সন্দেহ ছিলই। পরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাগুয়ার গাড়ির ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডারের তথ্যে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন, দুর্ঘটনার সময় জাগুয়ার গাড়ি চালাচ্ছিলেন আরসালানের দাদা রাঘিব পারভেজ। দুর্ঘটনার পর দুবাই পালিয়ে যাওয়া রাঘিবকে শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন।
এই মামলায় প্রায় দু’শো পাতার চার্জশিটে কলকাতা পুলিস তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। মূল অভিযুক্ত অবশ্যই রাঘিব পারভেজ। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা (৩০৪), কালপেলেবল হোমিসাইড অ্যাক্ট (৩০৮), বেপরোয়া গাড়ি চালানো (২৭৯), সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস-এর মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তেমনই এই মামলায় প্রথমে গ্রেপ্তার হওয়া আরসালান পারভেজের বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। তেমনই মহম্মদ হামজা তথা রাঘিবের মামার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট (২০১), অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করার (২১২) অভিযোগ আনা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের এই চার্জশিটে সাক্ষী তালিকায় ৬০-৬৫ জনের নাম রয়েছে।