বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়ন্ত দাস ওরফে গোবিন্দ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছাড়ে ৬টা নাগাদ দলবল নিয়ে পুরসভার সামনে হাজির হন। এরপর আচমকা অ্যাম্বুলেন্স বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। এরপর দোতলায় উঠে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ও সেক্রেটারিকে গালাগালি করতে করতে তাড়া করেন বলে অভিযোগ। দুই আধিকারিক কোনওমতে পুরসভার পেছন গেট দিয়ে বেরিয়ে লোকসংস্কৃতি ভবনের ভিতরে বাথরুমে ঢুকে পড়েন। তাঁদের না পেয়ে অভিযুক্তরা পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকেও মারতে যায় বলে অভিযোগ। তিনিও সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে পালান। তিন আধিকারিকের খোঁজে হামলাকারীরা তিন তলায় উঠে এক মহিলা কর্মীকেও হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। তিন আধিকারিক পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে বুঝতে পেরে তারা লোকসংস্কৃতি ভবনে যায়। সেখানে খানাতল্লাশি চালিয়েও আধিকারিকদের কোনও খোঁজ না পেয়ে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার জয়ন্ত দাসের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য তথা পানিহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভায় প্রশাসক বসানো হলেও, তৃণমূল নেতৃত্ব বাড়িতে বসেই পুরসভা চালাতে চাইছে। অবৈধভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানো নিয়ে প্রশাসক ও পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেকারণে আধিকারিকদের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু আধিকারিকরা কোনওমতে পালিয়ে বেঁচেছেন। এই ঘটনা পানিহাটির কাছে বড় লজ্জা। আমরা সর্বস্তরে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, আমাদের প্রাক্তন কাউন্সিলারের সঙ্গে কংগ্রেসের সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত ঝামেলা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকেদের মধ্যে পুরসভার গেটের সামনে ঝামেলা ও হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই সময় পুলিস আসছে জানতে পেরে দুই পক্ষের লোকেরা বিভিন্ন দিক দিয়ে পালায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন পুরসভার ভিতর দিয়ে দৌড়ে পালায়। পুরসভার কোনও কর্মী বা আধিকারিককে মারধরের কোনও প্রশ্নই নেই। অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।