নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নবীনবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে মারামারির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে গোলমাল বাধে। যদিও বিষয়টি খুব একটা বড় করে দেখতে নারাজ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ ফেটসু। এদিকে, তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগেও এদিন সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সিভিল এবং তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে এদিন নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই বিভাগে এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, অনুষ্ঠান শুরু হতেই গোলমাল বাধে। তবে কারণ নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। একটি সূত্র বলছে, অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে টাকা-পয়সার হিসেব নিয়েই মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে হস্টেলের পড়ুয়াদের মধ্যেও। পরে হস্টেলের আবাসিক এবং সাধারণ পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল মারামারি বেধে যায়। যদিও আরেকটি সূত্রের দাবি, এক ছাত্রকে র্যা গিং করা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক অভীক দাস বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, কিছু একটা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে কিছু দেয়নি।
এদিকে, তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে ভিন্ন রকমের অচলাবস্থা তৈরি হয় এদিন। মাস দুই আগে দুই ছাত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন আরও একবার সমস্যা তৈরি হয়। বিভাগ সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়া ক্লাস করতে গেলে বাকি পড়ুয়ারা ক্লাস ছেড়ে চলে যান। গত কয়েকদিন ধরেই এমনটা চলছিল। বিভাগের বাইরে পোস্টারও পড়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, যৌন হেনস্তাকারীদের বিভাগে কোনও জায়গা নেই। এই বিভাগে মঙ্গলবার নবীনবরণ অনুষ্ঠানেও সেই পোস্টার দেওয়া হয়। পরে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, অভিযুক্ত ওই পড়ুয়া ক্লাস করলে, বাকিরা কেউ ক্লাস করবেন না। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটি আমরা আইসিসি এবং অ্যান্টি র্যা গিং কমিটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। দু’-একদিনের মধ্যে বৈঠক করে তারা জানিয়ে দেবে। দু’টি বিভাগের এমন কাণ্ড নিয়ে স্বভাবতই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।