পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাণীপুর পূর্ব পাড়ার মনসাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার। শ্রীচেতন্য কলেজ থেকে স্নাতক ইন্দ্রজিৎবাবুর মূর্তি বানানোর প্রাতিষ্ঠানিক কোনও শিক্ষা নেই। কেবলমাত্র নিজের ইচ্ছে ও জেদের বসেই দীঘায় বেড়াতে গিয়ে ঝিনুক কিনে এনেছিলেন। ২০০০ সালে সেই ঝিনুক দিয়ে পাড়ার ক্লাবের কালী প্রতিমা বানান। মায়ের রূপের মাধুর্যের কারণে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের বছর বনগাঁর দুটি সর্বজনীন দুর্গা পুজোর মূর্তি ও মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব পান।
২০১৬ সালে ত্রিপুরার একটি পুজো কমিটির জন্য নিজের বাড়িতেই ৪ কোটির সোনার দুর্গা বানান। ২০১৮ সালে তিনি ১০ কোটি টাকার হীরের প্রতিমা গড়ে চমকে দিয়েছিলেন। এবার যেহেতু ওই সর্বজনীন পুজো ১০০ বছরে পড়েছে, তাই ১১০ কেজি রুপো দিয়ে প্রতিমা গড়া চলছে। একই ফ্রেমে আলাদা আলাদা করে থাকবেন সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশ। প্রতিমার মুকুট, গয়না, বুকপাটা, শাড়ি সহ সমস্ত কিছুই তৈরি হচ্ছে রুপো দিয়ে।
এই বিশাল অঙ্কের ঠাকুর পাহারা দেওয়ার জন্য হাবড়া থানার তরফে চার জন সশস্ত্র পুলিস কর্মী ও চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মোতায়েন করা হয়েছে। মোট ১৩টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। ইন্দ্রজিৎ বলেন, মণ্ডপে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস ও বিভিন্ন জেলার শিল্প, লোক সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে।