কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকেই পিউ তার দিদিমা অষ্টবালা দোলুইয়ের কাছে থাকত। নিজের ও নাতনির খরচ চালানোর জন্য অষ্টবালাদেবী একটি বেসরকারি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে রান্না করে তিনি কাজে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় পিউ কালীতলা মোড়ে দিদিমার ফেরার জন্য অপেক্ষা করত। পরে সাইকেলে চাপিয়ে দিদিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসত। অষ্টবালাদেবীর বক্তব্য, রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে কালীতলায় নাতনিকে দেখতে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানান বিকেলে একটি শাড়ি নিয়ে পিউকে বাড়ির পাশে বাগানের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। পরে বাগানে গেলে একটি গাছে শাড়িটি ঝুলতে দেখলেও নাতনিকে দেখতে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করা শুরু করি। পরে পুকুরে নাতনির মৃতদেহ ভাসতে দেখি।
ভাগনির মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় কিশোরীর মামা নিরাপদ দোলুই। তিনি বলেন, পিউ মায়ের সঙ্গে একাই থাকত। রবিবার রাতে বাড়ি ফিরে ঘরে শুয়ে থাকার সময়ে শুনতে পাই পিউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুর থেকে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। কীভাবে সে সেখানে গেল, তা নিয়েই আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত দাবি করেছি। পুলিস জানিয়েছে, পুকুর থেকে তার উদ্ধার হওয়া মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। কিন্তু, কেনই বা শাড়ি নিয়ে সে বাগানের দিকে গেল আর পুকুরে তা মৃতদেহ পাওয়া গেল, তা তদন্ত না করেই বলা সম্ভব নয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধারণা করা যাবে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।