বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মৃতের মা কল্পনা দাস বলেন, গত দু’মাস ধরে অকারণে পুলিস আমার ছেলেকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। ওর নামে কোনও অভিযোগ নেই। তারপরেও রাতবিরেতে ওকে খুঁজতে আসত। সেই কারণেই ও আত্মঘাতী হয়েছে। ওর ছোটবেলার কিছু বন্ধু ছিল। তাদের সঙ্গে ও কথা বলত। কারও সঙ্গে কথা বললেই তাদের দলে ভিড়ে যাওয়া হয় নাকি? পুলিস মানসিক চাপে ফেলে আমার ছেলেকে মেরে দিয়েছে। মৃতের ছেলে শুভঙ্করও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। সে বলে, রবিবার রাতে বাবা আমার সঙ্গে শুয়ে ছিল। রাতে পুলিস এলে বাবা ছাদ টপকে পালিয়ে যায়। পুলিস এসে আমার কান টেনে বাবার খোঁজ করে। তারপর ওরা চলে গেলে বাবা ফিরে এসে বলে অন্য ঘরে শোবে। আমি দরজায় তালা দিয়ে ঠাকুমার কাছে শুতে চলে যাই। সকালে দেখি বাবা মারা গিয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপত্নীক কাঞ্চন দাস তাঁতিপাড়াতে ছেলে ও মাকে নিয়ে থাকতেন। পেশায় রং মিস্ত্রি ওই যুবক সম্প্রতি অবসাদে ভুগছিলেন। সেভাবে কাজকর্মও করতেন না। সম্প্রতি পুলিস তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই তিনি কাজ করতে যাচ্ছেন বলে বোলপুরে চলে যায়। সম্প্রতি ফিরে এসে ফের বাড়িতেই বসে থাকত। এনিয়ে তার মা তাকে কাজকর্ম করার পরামর্শও সম্প্রতি দিয়েছিলেন। মৃতের মায়ের দাবি, পুলিসের তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করাতে কাঞ্চন জানিয়েছিল সে কোনও অপরাধমূলক কাজ করেনি বা কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। এরপরেই রবিবার রাতে ফের পুলিসি অভিযান হয় তার বাড়িতে। সেই সময় পালিয়ে গেলেও পরে ফিরে এসে একটি ঘরে শুয়ে পড়ে কাঞ্চন। সকালে সেই ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়।