দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কিন্তু সেই পুজোর আনন্দ যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে মেট্রো সুড়ঙ্গের বিপর্যয়ে। স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ এদিন বললেন, প্রতি বছর গণেশ পুজো, বিশ্বকর্মা পুজোর আলোয় ঝলমল করে ওঠে আমাদের এলাকা। মহালয়ার সময় থেকেই আলোয় ভরে যায় অলিগলি। কিন্তু এখন দেখুন, সবই অন্ধকার। বিপর্যস্ত দুর্গা পিতুরি লেনের এক বাসিন্দার কথায়, কত দিন, কত সময় পর আমরা আমাদের জায়গা ফিরে পাব, জানি না। প্রশাসনের কেউ বলছেন, এক বছর, কেউ বলছেন, তিন বছরেরও বেশি। নিজেদের ভিটে ছেড়ে এখন উদ্বাস্তুর মতো হোটেলে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজোর আনন্দ এখন ফিকে হয়ে গিয়েছে। সব আনন্দই যেন আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। আবার স্যাকরাপাড়া লেনের বাসিন্দা মতিলাল সাউ বলেন, এক কাপড়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। বাড়ির অবস্থা কী হয়ে রয়েছে, কিছুই জানি না। কতদিন হয়ে গেল। আমাদের সব কিছুই শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিন বউবাজারে গিয়ে দেখা গেল, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) কর্তা-আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। তাঁদের মধ্যে এক কর্তা এদিন বলেন, অত্যন্ত খারাপ হাল হয়ে রয়েছে বাড়িগুলির। কোনটা কখন ভেঙে পড়বে, কেউই বলতে পারছে না। বেশ কয়েকটি হেলে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সিমেন্ট-চাঙড় খসে পড়ছে। তাই বাড়ির ভিতরে ঢুকেও পরিস্থিত দেখার ঝুঁকি কেউ নিতে পারছে না।
এদিকে, নবান্ন বৈঠকে মুখ্যসচিব কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি দ্রুত শেষ করতে। সেইমতো দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে এদিন কেএমআরসিএলের এক কর্তা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য, নতুন নাম যুক্ত করার প্রক্রিয়াও চালু রয়েছে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিন ৪৪ জন ব্যবসায়ীর হাতে কেএমআরসিএল-এর তরফে ফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ীদের লিখতে হবে, তাঁদের দোকানগুলিতে কতটা ক্ষতি হয়েছে। সেই ফর্মটি আবার পুলিস, কাউন্সিলার এবং ওই দোকানটি যে বাড়ির মালিকের, তাঁকে দিয়ে অনুমোদিত করাতে হবে। তারপরই তিনি তা জমা দিতে পারবেন। সেইমতো পোদ্দার কোর্টে সংলগ্ন যে লুসান সরণী রয়েছে, সেখানে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এছাড়াও যে হোটেলগুলিতে বউবাজারের বাসিন্দাদের রাখা হয়েছে, সেখানে মেডিক্যাল ইউনিটের ব্যবস্থা করেছে কেএমআরসিএল। যাঁরা সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের উপরে নজর রাখছে। পাশাপাশি, ট্রমা কেয়ারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা।