নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিধিভঙ্গকারীদের শুধু জরিমানাই নয়, চলছে বোঝানোর কাজও। লাগাতার তল্লাশিও চলছে। কিন্তু তারপরেও নিয়ম না মানার প্রবণতা রয়েই গিয়েছে বাইকবাহিনী বা গাড়ি চালকদের মধ্যে। শুক্র ও শনি, দু’দিন কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ড্রাইভে শুধু হেলমেটহীন বাইকের বিরুদ্ধে কেসের সংখ্যা ৮৭৬। এমনকী খাস কলকাতায় তিনজন বা তার বেশি ব্যক্তি একটি বাইকে থাকার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৫৯৯ জনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মতো মামলা তো রয়েছেই। বিধি ভাঙার অভিযোগে ১৯৭টি কেস করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৭টি গাড়ি। ছোট এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, নগরবাসীর মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। সেই কারণে আইনের ধারা প্রয়োগের পাশাপাশি আইনভঙ্গকারীকে এর বিপদ নিয়ে বোঝাতে চাইছেন ট্রাফিকের অফিসাররা। পাশাপাশি তাঁরা এমন কিছু কর্মসূচিও রাখতে চাইছেন, যাতে বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে নিয়ম ভাঙার অভ্যাস কমতে শুরু করে।
শহর কলকাতায় দুষ্কৃতীদের দাপট আটকাতে এর সঙ্গেই চলছে ব্লক রেড। নতুন পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও ধরনের দুষ্কৃতীরাজ কলকাতায় চলতে দেওয়া যাবে না। শহর অপরাধমুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি নিয়ম মেনে চলতে হবে। ব্লক রেড শুরু হওয়ার পর থেকেই এর সুফল মিলতে শুরু করেছে। ধরা পড়ছে আগ্নেয়াস্ত্র। নতুন গজিয়ে ওঠা মদ ও জুয়োর ঠেকের খোঁজ মিলছে। দীর্ঘদিন ব্লক রেড বন্ধ থাকায় অপরাধীরা বেশ নিরাপদ বোধ করেছিল। ব্লক রেড শুরু হতেই তারা এলাকা ছেড়েছে। এমনকী নিজের এলাকায় আসার সাহসও দেখাতে পারছে না। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুখ্যাত একাধিক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগ। শুক্রবার ও শনিবার রাতে সমস্ত জায়গাতেই ব্লক রেড চলে। বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদের ঠেক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২৮১ লিটারের বেশি মদ। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও মদ খেয়ে বেলেল্লাপনার অভিযোগে ধরা পড়েছে একাধিক ব্যক্তি। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, পূজোর আগে এই ব্লক রেড আরও জোরদার হবে। কারণ এই সময়ই ভিন রাজ্য থেকে অপরাধীরা এসে হাজির হন। পরবতী ধাপে কোথায় কোথায় হানাদারি চলবে, তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে।