কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার গভীর রাতে ট্রেন থেকে কাঁকিনাড়া স্টেশনের ৩নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামলে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। ছিনতাইয়ে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমা গুলিতে খুন হন তিনি। বিহার থেকে মুজফ্ফপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে নদীয়ার ভীমপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই চিকিৎসক। দু’দিন আগে তাঁর দাদা আত্মহত্যা করেছেন। সেকারণেই বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথেই তিনি খুন হন।
এই ঘটনায় রেলপুলিস তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল। সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতুড়ে চিকিৎসককে বোমা মারার সময় হাত উড়ে যায় সাহাবাজ আহমেদ নামে এক দুষ্কৃতীর। তাকে তার পরিবার ভর্তি করে কলকাতা এন আর এস হাসপাতালে। সেখান থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে। শনিবার রাতে এন আর এস হাসপাতালে গিয়ে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে সে এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাকে জিজ্ঞাসবাদ করে রেলপুলিস ফয়জল খান ওরফে রাজু ও ইব্রাহিম খান ওরফে বাঙালির নাম পায়। তিনজনেরই বাড়ি কাঁকিনাড়া ২ নম্বর রেলওয়ে সাইডিং এলাকায়। রবিবার ভোরে কাঁকিনাড়া থেকেই রেলপুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে।
রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন দুষ্কৃতীই কুখ্যাত। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই, রাহাজানির অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে। তিন জনেই জামিনে ছাড়া ছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ইত্যাদি ধারা দেওয়া হয়েছে।
হাতুড়ে চিকিৎসক খুনের ঘটনার একদিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রবিবার স্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। ট্রেন যাত্রীরা বলেন, কাঁকিনাড়া স্টেশনের উপর দিয়ে যাত্রা এখন আতঙ্কের। এর আগে ট্রেনের মধ্যে বোমাবাজি হয়েছে। রেল অবরোধ করে বোমাবাজি করা হয়েছে। লেডিস স্পেশাল ট্রেনে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। জিআরপি কার্যালয় থাকা সত্বেও রাতে স্টেশন সুরক্ষিত নয়। যাত্রীদের অভিযোগ, রাতে রেল পুলিস ঘুমিয়ে কাটান। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়ে স্টেশন। শুক্রবার রাতে হাতুড়ে ডাক্তার খুনে সেই ঘটনাই প্রমাণ করল।