গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চুঁচুড়ার দুর্গাপুজোর থিম কেবল জেলাতেই তৈরি হচ্ছে তা নয় অনেকক্ষেত্রেই ভিনজেলার সুদক্ষ শিল্পীদের এনে চমক দেওয়ার প্রয়াস আছে। তেমনই একটি পুজো বিবেকানন্দ রোড সর্বজনীন। ভিনরাজ্যের শিল্পীর হাতে এখানে একটি মায়াবী পরিবেশ গড়ে উঠছে। ফুলের বনে গান আর আলো মেখে পালকিতে সওয়ার হয়ে দেবী মণ্ডপে আসবেন। নানান উপাদান আর যান্ত্রিক কলাকৌশলে সেই পরিবেশ জীবন্ত করে তুলতে উদয়াস্ত কাজ চলছে। পুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিলার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, চমক ধরে রাখতে এখনই গোটা বিষয়টি আমরা প্রকাশ্যে আনছি না। তবে একেবারে নতুন ধরনের একটি থিম এবার আমরা উপহার দেব। শহরের পেয়ারাবাগান সর্বজনীন অবশ্য রাখঢাক না করেই ‘তাদের দাও ফিরে সে অরণ্য’ থিমকে নিয়ে প্রচারে নেমেছে। পরিবেশ সচেতনতা, বৃক্ষরোপণ, বৃক্ষছেদন প্রতিরোধকে নানান আদলে দুর্গোৎসব অনুসারী করে তোলা হচ্ছে এখানে। বিশেষ ধরনের উপকরণ আর মৃন্ময়ী দেবীকে থিমের সাজে সাজিয়ে পেশ করা হবে। ক্লাবকর্তা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বিশ্বাস এই থিম নতুন না হলেও, উপস্থাপনায় নজর কাড়বে। পরিবেশ ভাবনাকে আশ্রয় করেই থিম করেছে সুকান্ত সঙ্ঘ ঠাকুর গলি সর্বজনীন। এখানে বাঁশের অভিনব বিন্যাসের মণ্ডপে সনাতন দেবী প্রতিমাকে হাজির করা হবে। ক্লাবকর্তা তথা কাউন্সিলার পার্থ সাহা বলেন, পরিবেশ সচেতনা, বাঁশের প্রয়োজনীয়তাই আমাদের মণ্ডপের থিম। গ্রিক গথিক আর সনাতন ধারার দেবদেউলের সংমিশ্রণে নিজেদের থিম তৈরি করছে আখনবাজার সর্বজনীন। এই মণ্ডপে দেবী সনাতনী একচালার বিরজমান থাকবেন। মণ্ডপের সামনের অংশে থাকবে গ্রিক গথিকের ব্যবহার। আর পরবর্তী অংশ পুরনো জমিদার বাড়ির ঠাকুরদালানের আদলে তৈরি হবে। পুজো উদ্যোক্তা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, দেশ ও ভিনদেশের ঐতিহ্যবাহী নির্মাণভাবনাকে আমরা মণ্ডপ নির্মাণে ব্যবহার করেছি।
৭৫ বছরে পা দেওয়া চুঁচুড়ার কণকশালী সর্বজনীনের পুজোয় এবারের থিম ‘রঙের মেলা আলোর খেলা’। এখানে ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনগর ঘরাণার মৃন্ময়ী মূর্তি থাকবে। মণ্ডপসজ্জায় নানা ধরনের লোহার ঝুড়ি আর ঝিনুকের ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে হাজার হাজার এলইডি আলোয় মণ্ডপ সজ্জা হবে। ক্লাবকর্তা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, প্লাটিনাম জুবিলিকে স্মরণীয় করে রাখতে সার্বিক প্রয়াস করা হচ্ছে। প্লাটিনাম জুবিলি বর্ষের পুজোর আয়োজন করছে কাপাসডাঙ্গা সর্বজনীনও। সাবেকি জমিদার বাড়ির পুজোর ঘরাণা এখানে তুলে ধরা হবে। ক্লাবকর্তা নির্মল চক্রবর্তী বলেন, মৃণ্ময়ীদেবীকে আমরা বিশেষভাবে তৈরি গয়নায় সাজাব।