কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৩০টি পরিবারকে সরানো হয়েছে। তার মধ্যে ৮৩টি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। তবে ওই তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তালিকা নিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ রয়েছে। তাই স্থানীয় কাউন্সিলার, স্থানীয় থানার ওসি প্রকৃত বাসিন্দা কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ করছেন। কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রকৃত বাসিন্দাদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি আছে বলে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মানস সরকার।
বৈঠকের পরে তিনি বলেন, আমরা সকলের জন্য ফ্ল্যাট খুঁজছি। কিন্তু তাঁরা ওই এলাকায় বা কাছাকাছি থাকতে চাইছেন। কিন্তু সেই জায়গায় আমরা ফ্ল্যাট পাচ্ছি না। আমরাও তাঁদের চাহিদা মতো ব্যবস্থা করছি। তবে যাঁরা বাড়ির বাইরে রয়েছেন, তাঁদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছি। যাঁদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তাঁদের সব মূল্যবান জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। একটু দূরে হলেও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এক বছরের বেশি ওই অস্থায়ী ঠিকানায় থাকতে হবে তাঁদের।
বউবাজারের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কোর গ্রুপ তৈরি করে দেন। সেই কোর গ্রুপে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ, কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, পরিবহণ সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, দমকলের ডিজি জগমোহন এবং কেএমআরসিএলের কর্তাব্যক্তিরা আছেন। বউবাজারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট করেন কেএমআরসিএল-এর এমডি। কোন কোন বাড়ির কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিচ্ছে বিল্ডিং কমিটি। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী কেএমআরসিএল ব্যবস্থা নেবে।
তবে যেসব বাড়ি ঠিক আছে, সেগুলিতে কিছুদিন বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের ঢুকতে অনুমতি দেবে মেট্রো রেল। তবে বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে। এতে খুশি রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই পরবর্তী পর্যায়ে কাজ শুরু হবে বলে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কেএমআরসিএলকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।