কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবারই বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা সিঙ্গুর থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এদিন হাওড়া স্টেশনে তাঁরা পৌঁছান। এরপর তাঁরা নবান্নের দিকে রওনা দেন। এদিনের কর্মসূচির জন্য ময়দানে পুলিসের ব্যারিকেড করে রাখা হয়। রাখা ছিল জল কামান। পুলিসের পদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে ছিলেন। মিছিল বঙ্কিম সেতু দিয়ে বঙ্গবাসী মোড় পার হতেই পুলিস তাদের আটকে দেয়। বাম কর্মীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায়। এরপর বাম কর্মীদের দিক থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তখন পুলিস ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। কিন্তু, মিছিলের বাকি অংশ ততক্ষণে বঙ্গবাসী মোড়ে এসে পৌঁছে যায়। তারাও পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিস কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ও জল কামান চালাতে শুরু করে। বাম কর্মীদের অভিযোগ, আশপাশ এলাকার বেশ কিছু বহুতল থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়েছে। তার জেরেও বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। এমনকী, পুরসভার তৃণমূল কর্মীরাও এদিনের ‘হামলায়’ যুক্ত ছিলেন বলে বামেদের অভিযোগ। যদিও পুলিস জানিয়েছে, মিছিল থেকেই ইট ছোঁড়া হয়েছিল। তাতে পাঁচজন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করেছে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই গোলমালের আশঙ্কায় ওই এলাকার দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়িও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার জন্য বহু মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। মূলত কাজের দিনে পুরসভা, আদালত বা জেলা প্রশাসন ভবনে কাজে আসা লোকজনকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। পুজোর মুখে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদেরও সমস্যায় পড়তে হয়েছে।