কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক পড়ুয়াকে স্কুল ড্রেস দেওয়া হয় সরকারের তরফে। কিন্তু, দুই শিক্ষাবর্ষে গাইঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা স্কুল ড্রেস থেকে বঞ্চিত। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি নেই। তার ফলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা এসে পড়ে রয়েছে। খরচ করা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা স্কুল ড্রেস পায়নি। এবছরও শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চলল। কিন্তু স্কুল ড্রেস মেলেনি পড়ুয়াদের। ল্যাবরেটরির জন্য দুই লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকাও খরচ করতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল ড্রেস না পাওয়ার প্রতিবাদেই এদিন স্কুলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাতে শামিল হন তাদের অভিভাবকরাও। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া সুরজিৎ দেবনাথ বলে, গত বছর স্কুল ড্রেস পাইনি। এবছর এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আরেক ছাত্র জানায়, স্কুলের শৌচালয় পরিষ্কার হয় না নিয়মিত। নোংরা হয়ে থাকে। এক অভিভাবিকা অনিমা দেবনাথ বলেন, সবখানেই স্কুল ড্রেস দেওয়া হয়। ব্যতিক্রম এই স্কুল। এখানকার ছেলেমেয়েরা দু’বছর ধরে তা পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলোক বিশ্বাস বলেন, তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি না থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। গত বছর স্কুল ড্রেসের জন্য গ্র্যান্ট আসেনি। তবে এবার গ্র্যান্ট পাব আশা করি। তা এলেই ছাত্রছাত্রীদের পোশাক দেওয়া হবে। শৌচালয় অপরিষ্কার থাকার প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, নির্বাচনের কাজে স্কুল ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন হওয়ার পরদিন এসে দেখি শৌচালয়গুলির দরজা ভাঙা। পরে দরজা লাগানো হয়েছে। শৌচালয় ছোট ছোট পড়ুয়ারা কখনও নোংরা করে ফেলে। তবে তা পরিষ্কার করা হয়।