কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা ক্যামেরা, ফ্রিজ ও বাইক সহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ওই অনলাইন সংস্থায়। একেবারে নতুন মডেলের ঝাঁ চকচকে ওইসব সামগ্রী প্রায় সিকিভাগ দামে বিক্রির কথা বলা হচ্ছে। এত কম দামে সামগ্রী পাওয়া যাবে ভেবেই বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করছেন গ্রাহকরা। তখনই প্রতারকরা নিজেদের সেনাবাহিনীর কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সহজেই মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। কেন কম দামে সামগ্রী বিক্রি করছেন প্রশ্নে প্রতারকদের কেউ বলছে, ক্যান্টিন থেকে নতুন কেনা সামগ্রী রাখার জায়গা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, কেউ বলছে বন্ধুর দেওয়া গিফট ব্যবহার করা হচ্ছে না, কেউ বলছে নতুন জায়গায় বদলি হয়ে যাচ্ছি। এত জিনিস নিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ায় বিক্রি করে দেব। এরপর আর্মি পোস্ট অফিস থেকে ক্যুরিয়ার করার কথা বলে ক্যুরিয়র ফিজ হিসেবে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা প্রথমে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর ফের অন্য নম্বর থেকে আর্মি পোস্ট অফিসের নাম করে ফোন করে ওই সামগ্রী কলকাতায় চলে এসেছে বলে জানিয়ে দফায় দফায় গ্রাহকদের থেকে টাকা হাতিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
চলতি মাসে বনগাঁর শিমূলতলা এলাকার বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল একইভাবে প্রতারণার শিকার হন। তিনি আগেও অনলাইন বিপণী থেকে নানান সামগ্রী কিনেছেন। সম্প্রতি একটি দামি ক্যামেরা বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ফোন করেন। তখন ওই ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় সেনা জওয়ান হিসেবে পরিচয় দেয়। মনজিৎ সিং নাম নিয়ে সে জানায়, আগে কলকাতায় পোস্টিং থাকলেও বর্তমানে রায়পুরে পোস্টিং রয়েছে। এক বন্ধু তাকে ওই ক্যামেরা গিফট দিয়েছিল। ব্যবহার না হওয়ায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। সত্যিই সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত প্রমাণ করতে পলাশবাবুর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে সেনাবাহিনীর পোশাক ও বন্দুক হাতে তোলা একাধিক ছবি, ক্যান্টিন কার্ড, আধার কার্ডের ছবিও পাঠায়। এমনকী নানান প্রশ্ন করা পলাশবাবুকে ভারতীয় সেনার বীরত্ব ও সততার কথা বলে চুপ করিয়ে দেয়।
এরপর দফায় দফায় কখনও ক্যুরিয়র ফিজ, কখনও সেনা পোস্ট অফিসের নাম করে ফোন করে তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে তিনি পুলিসের দ্বারস্থ হন। পলাশবাবু বলেন, আমি আগেও এভাবে অনেক জিনিস কিনেছি। এইভাবে সেনার নাম নিয়ে কেউ প্রতারণা করবে বুঝতে পারিনি। ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ক্যামেরা মাত্র ৫০ হাজার টাকায় পাব ভেবে আমি প্রথমে ক্যুরিয়র ফিজ সহ দফায় দফায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা দিয়ে ফেলেছি। এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ট্র্যাক করে বিহারের জামতারা, গুরগাঁও, উত্তরপ্রদেশ, কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওইসব নম্বরের লোকেশন দেখাচ্ছে। ওইসব সিমকার্ড বিভিন্ন নামে তোলা হয়েছে। যে নাম ও পরিচয় দিয়ে প্রতারকরা কথা বলছে, তার সঙ্গে মোবাইলের সিম কার্ডের তথ্যের মিল নেই।