বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
৯, ১০, ১১ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল ট্র্যাক এশিয়া কাপ-২০১৯। এশিয়ান সাইক্লিং ফেডারেশন ও ভারতীয় সাইক্লিং ফেডারেশনের উদ্যোগে তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপ। তাতে ১২টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জুনিয়র মহিলা বিভাগে অংশ নেন নদীয়ার মদনপুরের ১৭ বছর বয়সি তিয়াশা পাল। ৫০০ মিটার টাইম ট্রায়ালে মাত্র ৩৭.০ সেকেন্ডে অতিক্রম করে সোনা জিতলেন তিনি। টেম্পো স্প্রিন্টে ৩৫.৮ সেকেন্ডে অতিক্রম করে দ্বিতীয় সোনা জেতেন তিয়াশা। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে ১১.৭ সেকেন্ডে অতিক্রম করে তৃতীয় সোনা জেতেন তিনি। তিন তিনটে বিভাগে সোনা জয়ের পর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সাইক্লিং ফেডারেশনের কর্তাদের মধ্যে।
তিয়াশার ছোটবেলা থেকে খেলাধুলোর প্রতি ঝোঁক। লং জাম্প, দৌড়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। তবে কোনও দিন সাইক্লিংয়ে সোনা জিতবেন, তা তাঁর স্বপ্নে ছিল না। বছর দুই আগে আচমকাই পশ্চিমবঙ্গ সাইক্লিং ফেডারেশনের থেকে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে। তারপর ফেডারেশনের তরফে একবার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। এরপর দিল্লিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া। গত দুই বছর ধরে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জার্মানিতে গিয়ে। এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন তিনি। এবার এল সোনা জয়ের সংবাদ।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ত্রিদিব পাল মেয়ের এই সাফল্যে আত্মহারা। তিনি বলেন, মেয়ে শিমুরালি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। পড়াশোনোতেও খুব ভাল। বছর দুই আগে হঠাৎই ওর কাছ সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অফার আসে। মেয়েকে দূরে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা দ্বিধাই ছিলাম। মেয়ের এই সাফল্যে খুশি। আমরা চাই, মেয়ে আরও এগিয়ে যাক। স্বপ্ন দেখি, মেয়ে একদিন অলিম্পিকে অংশ নেবে।
তিয়াশার স্বপ্নও সেটাই। আপাতত তিনি এক মাস পরে কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তাঁর রাজ্য সরকারের প্রতি আক্ষেপও রয়েছে। তিয়াশা বলেন, অন্য রাজ্য থেকে সোনা জিতলে নানান পুরস্কার, অর্থ দিয়ে সাহায্য করত। অন্য রাজ্যের খেলোয়াড়রা তা পাচ্ছেনও। কিন্তু পশ্চিমঙ্গের খেলোয়াড়রা বঞ্চিতই থাকে। পশ্চিমবঙ্গ সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎবাবু বলেন, দীর্ঘকাল পর সাইক্লিংয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এমন সাফল্য পেল। তিনটে সোনা জিতেছে তিয়াশা। লড়াকু এই মেয়ে লম্বা রেসের ঘোড়া।