নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দিনে ২ ঘণ্টার বেশি জল পেতেন না একটা সময়। সেই সময় ফ্ল্যাট কিনে এই সমস্যার জেরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্রেফ এই কারণেই মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে গত বছর একাধিকবার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। তিনি আবার যে কেউ নন, খোদ কলকাতা পুলিসের এক পদস্থ কর্তা। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। তবে এখনও যে জল আসে, তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। কলকাতা পুরসভার ১১১ নং ওয়ার্ডের একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এই পুলিসকর্তা বুধবার ‘টক টু মেয়র’-এ ফোন করে এই কথা জানান। মেয়র ফিরহাদ হাকিম প্রথমে এক পুলিসকর্তার কাছ থেকে আত্মহত্যার ভাবনার কথা শুনে দৃশ্যতই কিছুটা হকচকিয়ে যান। পরে তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, এরকম কথা একদমই ভাববেন না। সবে আমরা ১০ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা বিরোধী দিবস উদযাপন করেছি। আপনার পাশে সবসময় রয়েছি আমরা। তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হলে পর্যাপ্ত জল মিলবে এই প্রান্তিক ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়। তবে এখন কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রতি সপ্তাহের মতো এদিনও ‘টক টু মেয়র’ শুরু হয় বিকেল ৪টেয়। প্রায় ২৫টি ফোন কল গ্রহণ করেন মেয়র। মিউটেশন আটকে থাকা, জঞ্জাল সাফাই, ভাড়া নেওয়া বাড়ির চত্বরে নিকাশি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার মতো অভিযোগ আসে। সামনে বসে থাকা আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে চটজলদি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি।