কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, আদতে হুগলির গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা মান্নান শেখ মুম্বইয়ে বিখ্যাত জাভেরি বাজারে হীরের দালালির কাজ করে থাকে। পাশাপাশি কলকাতা ও সুরাতের মতো দেশের একাধিক শহরে গয়না তৈরির কারখানা থেকে হীরে চুরির অভিনব পথ নিয়েছিল সে। গিরিশ পার্কের ক্ষেত্রেই সে মাসখানেক আগে শাকিল হুসেনকে কারিগর হিসেবে প্রশান্ত মালের কারখানায় নিয়োগ করেছিল।
৯৭টি হীরে বসানো নেকলেসের কাজ হাতে আসতেই শাকিল হীরে সহ নেকলেস নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। চলতি মাসের ২৩ আগস্ট গিরিশ পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কারখানার মালিক প্রশান্ত মাল। এই হাইপ্রোফাইল হীরে চুরির তদন্তভার দেওয়া হয় লালবাজারের চুরি দমন শাখার গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পলাতক কর্মচারী শাকিলের মোবাইল নম্বর হাতে পান। মূলত, তার সূত্র ধরেই তদন্ত এগতে থাকে। এরপর গোয়েন্দারা মঙ্গলবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করেন মূল অভিযুক্ত মান্নান শেখকে। ধৃতকে নিয়ে গোয়েন্দারা তার গুপ্তিপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে ঘরের মেঝে খুঁড়ে চুরি যাওয়া ৯৭টি হীরে বসানো নেকলেস উদ্ধার করেন।
গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু কলকাতা নয়, ধৃত মান্নান শেখ ভিনরাজ্যেও বিভিন্ন কারখানায় কারিগরবেশী এজেন্ট বসিয়ে একাধিক হীরে চুরি করিয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা সেই চুরির তথ্যের নাগাল পেতে চাইছেন।