বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে পি পি পি মডেলে কলেজটি চালু হওয়ার পর ইলেকট্রিসিয়ান, ফিটার, ড্রাফটসম্যান, ওয়েলডার সহ ১০টি বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয় এবং ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ, কলেজটি চালু হওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর ঠিকঠাক চললেও তারপর থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা রুটিন মেনে ক্লাস না নেওয়া ছাড়াও মেশিন খারাপ হয়ে গেলেও সেগুলি সারানোর ব্যাপারে গা করছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়ে বুধবার আমরা ক্লাস বয়কটের পাশাপাশি শিক্ষকদের একটা ঘরে আটকে প্রতিবাদ জানানোর পথ বেছে নিয়েছি। এদিন ছাত্রছাত্রীরা দাবি করেন, প্রশাসন আমাদের ৩ দিনের সময় দিয়েছে, যদি তার মধ্যে আমাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আমরা লাগাতার ক্লাস বয়কটে যেতে বাধ্য হব।
এই আন্দোলন সম্পর্কে ইলেকট্রিসিয়ান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিমেষ পাল বলেন, কলেজে বিভিন্ন বিভাগে ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও মাত্র ১১ জন শিক্ষক থাকায় নির্দিষ্ট সময় মেনে ক্লাস না হওয়ায় পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছি। এমনকী এর জেরে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে, ফিটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কার্তিক চৌধুরীর অভিযোগ, প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্কশপে কোনও জলের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন আমরা দাবি তুললেও কর্তৃপক্ষ আমাদের কথার কোনও গুরুত্ব দেয়নি। অভিষেক মান্নার বক্তব্য, প্রতিবছর আগস্ট মাসে নতুন শিক্ষবর্ষ শুরু হওয়ার সময়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে কালচারাল ফি কেটে নেওয়া হয়। যেটা দিয়ে আমরা কলেজে ধুমধামের সঙ্গে বিশ্বকর্মা পূজা করি। যদিও এই বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই টাকা থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আমাদের পূজা করতে বলছে।
অপরদিকে কলেজে ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলন নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অর্পণ ঘোষের সঙ্গে ফোন যোগাযোগ করলেও তিনি এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে সহমত পোষণ করে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, আগামী দু’দিনের মধ্যে আমি নিজে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে সমস্যা মিটিয়ে দেব।