পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত রাখাল নন্দী সহ অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রাখাল নন্দী ও বিনোদ সিং ওরফে রিঙ্কুর বাড়ি। পুরসভার ম্যাটাডোর স্ট্যান্ডে খালাসির কাজ করার সময় রাখাল কুখ্যাত দুষ্কৃতী রতন মল্লিকের ছত্রচ্ছায়ায় আসে। তোলাবাজি দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হওয়া রাখাল দ্রুত এলাকায় প্রোমোটারি ও জমি কেনাবেচার সিন্ডিকেটের মূল মাথা হয়ে ওঠে। এই কাজ করতে করতে রাখাল ও বিনোদের বন্ধুত্ব হয়। সেই সময় তারা সিপিএমের আশ্রয়ে কাজ করত। পালা বদলের পর সিপিএমের ছায়া থেকে বেরিয়ে এক তৃণমূল নেতার হাত ধরে তারা শাসক শিবিরে যোগ দেয়।
বছর নয়েক আগে মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় এই দু’জনের নাম জড়ায়। সিন্ডিকেটের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে রাখাল ও বিনোদের অটুট বন্ধুত্বে চিড় ধরতে শুরু করে বছর তিনেক আগে। পুলিস জানিয়েছে, সুচতুর বিনোদ প্রোমোটারির পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর মধ্যমগ্রাম শহর যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পান। রাজনৈতিক দাপট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই মধ্যমগ্রামের সিন্ডিকেটরাজের পুরো নিয়ন্ত্রণ বিনোদের কুক্ষিগত হয়। ক্ষমতার মধুভাণ্ডের টোপ দেখিয়ে রাখালের দলের অনেক ছেলেকে বিনোদ নিজের দলে টেনে নেন। একটি মামলায় রাখাল বছর চারেকের জন্য জেলে যেতেই তার হাতে তৈরি সাম্রাজ্যের দখল নেন বিনোদ।
সেই আক্রোশ মেটাতে লোকসভা ভোটের আগে জেলে বসেই বিনোদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টাও করে রাখাল। সে যাত্রাতেও প্রাণে বেঁচে যান বিনোদ। মাস দেড়েক আগে রাখাল জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ফের এলাকার দখলদারি নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। বিনোদ ও তাঁর দলবলের দাপটে জামিন পেয়েও রাখাল মধ্যমগ্রামের বাড়িতে ঢুকতে পারেনি। পুলিস নিশ্চিত, পুরনো সাম্রাজ্য ফিরে পেতেই সোমবার রাতে পরিকল্পনামাফিক ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলের কদমতলা বাজারে বিনোদের উপর হামলা চালায় রাখালের দলবল। কিন্তু, এ যাত্রাতেও রক্ষা পান বিনোদ। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এলাকায় কোনও দুষ্কৃতীরাজ চলতে দেওয়া হবে না। মধ্যমগ্রামে দলের জেলা পার্টি অফিসের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে পুলিসকে।