রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হাওড়ার বেলগাছিয়া ছাত্র মিলন সংঘের এবারের থিম মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা। ইসকনের এই মন্দিরটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্দির হতে চলেছে। এবার ছাত্র মিলন সংঘ ওই মন্দিরের আদলেই তাদের মণ্ডপসজ্জা করতে চলেছে। প্লাইউড, থার্মোকল ও প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে মণ্ডপসজ্জার কাজ অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই থাকবে ১২ ফুটের চৈতন্য মহাপ্রভূর একটি মূর্তি। পুজো কমিটির চেয়ারম্যান ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেছেন, ইসকনের নির্মীয়মাণ মন্দিরটি সবচেয়ে বড় মন্দির হতে চলেছে। আমরা তারই আদলে মণ্ডপ তৈরি করছি। সঙ্গে থাকছে চন্দননগরের আলো। এছাড়াও এবার আমাদের প্রতিমা শিল্পী প্রদীপ রুদ্র পাল। এবার হাওড়ায় আমাদের পুজো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলেই আমরা আশা করছি।
কদমতলা সুবল স্মৃতি সংঘের পুজো এবার ৭৫ বছরে পা দিচ্ছে। এবার মিশরীয় সভ্যতাকে তাদের মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে— দেবী যুদ্ধ শেষ করে গোটা বিশ্বের মানুষকে আশীর্বাদ দিচ্ছেন, এই ভাবনাকে সামনে রেখে। পুজো কমিটির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, মিশরীয় সভ্যতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত জানি না। সেই কারণেই আমরা মমি থেকে শুরু করে মিশরীয় সভ্যতায় যা ছিল, তা তুলে ধরছি আমাদের মণ্ডপসজ্জায়। হাওড়া পঞ্চাননতলা রোডের বঙ্কিম পার্কের জাগ্রত সংঘ এবার তাদের মণ্ডপসজ্জা করছে দিল্লির লোটাস টেম্পলের আদলে। শিল্পী প্রদীপ সরকার এই মণ্ডপসজ্জা তৈরি করছেন। সঙ্গে থাকছে মানানসই আলো।
ওলাবিবিতলা সর্বজনীনের পুজো এবার ৭২ বছরে পা দিল। এবার তাদের থিম ‘বোকা ভাঁড়ের গল্প’। পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের জীবনে সঞ্চয় খুবই প্রয়োজন। বিপদের সময় ওই সঞ্চয়ই আমাদের সাহায্য করবে। সেটিই আমরা থিমের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। পুজো কমিটির প্রচার সচিব অখিলবন্ধু ভট্টাচার্য বলেছেন, বোকা ভাঁড় থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সবই সঞ্চয়ের মাধ্যম। তাই আমরা সেগুলিই মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরেছি। হাওড়া শহরের আরও একটি বড় পুজো ইছাপুর শিবাজি সংঘ। এবার তাদের ভাবনা ‘চক্রব্যূহের পাকচক্র’। উদ্যোক্তারা বলেছেন, এখন পৃথিবীর গভীরতম অসুখ চলছে। তার ফলে অবক্ষয়ের চোরাপথে মানবতার বিসর্জন হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্র নির্ভরতা, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক উগ্রতা, এমন কিছুর জন্যই পথ হারিয়েছে মানব সমাজ। তার মুক্তি পেতেই এবার দেবীর আরাধনায় ব্রতী হওয়া। সেটিই এবার মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মধ্য হাওড়ার চৌধুরিবাগান সর্বজনীনও এবার তাদের মণ্ডপসজ্জায় বিশেষত্ব তুলে ধরছে। সঙ্গে থাকছে আলোকসজ্জা। পুজো কমিটির সভাপতি রাখহরি সেন বলেন, এবার বাজার খুবই খারাপ। স্বেচ্ছায় যে যেমন চাঁদা দেবেন, তাই দিয়েই পুজো হবে। তবে এই পুজোয় প্রতি বছর যেভাবে মানুষের ঢল নামে, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমরা মনে করি।