কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বারুইপুর জেলা পুলিসের এক আধিকারিকের বলেন, ওই ডাকাতদল কীভাবে ওই বাড়ির অন্দরমহলের খবর পেল, তা নিয়ে ধোঁয়শার মধ্যে ছিল তদন্তকারীরা। এ নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে পড়শি দীপা মজুমদারের নামটি সামনে আসে। পুলিস জানতে পারে, দীপা ডিভোর্সি। দত্তবাড়ির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অরূপ দত্তর বৃদ্ধা মাকে কাকিমা বলে ডাকে। নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে বিভিন্ন সময় কোনও আবদার করলে, তা পূরণও করেন অরূপবাবুর মা। ডাকাতির কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য দীপা শাড়ি চাইতে গিয়েছিল দত্ত বাড়িতে। সেই সময় অরূপবাবুর মা আলমারি খুলে শাড়ি দেওয়ার সময় সেখানে সোনার গয়না দেখতে পায় দীপা। তখন সে গয়না দেওয়ার জন্য কাকিমার কাছে আবদার করে। সেই আবদার পূরণ করেন কাকিমা। তবে শর্ত দেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলেই দ্রুত তা ফেরত দিতে হবে। ঘাড় নেড়ে তাতে সম্মতি জানান দীপা। পুলিসকে দীপা জানিয়েছে, বিয়ে বাড়িতে গিয়ে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তার গলায়, হাতে, কানে সোনার গয়না দেখে অবাক হয়ে যায় পুরুষবন্ধুটি। কোথা থেকে গয়না জোগাড় হল জানতে চাইলে দীপা বিস্তারিত বলে। শুধু তাই নয়, কাকিমার কাছে আরও গয়না আছে এই খবরটিও সে দিয়েছে। এরপর পুরুষ বন্ধুটি দত্তবাড়িতে ডাকাতির ছক কষে। বাড়ির কোথায় কী কী জিনিস রাখা হয়, তা সরজমিনে দেখার জন্য একদিন দীপার সঙ্গে বন্ধুটি দত্তবাড়িতে যায়। এরপর ডাকাতদলের পাণ্ডা রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপারেশনের পরিকল্পনা করেছে। পুলিস জানিয়েছে, দীপার মোবাইল থেকে ওই বন্ধুটির নাম ও যাতীয় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে বন্ধুটিও তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে দীপার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে গিয়েছে। পুলিসের ধারণা, দীপাকে বিয়ে করার ব্যাপারে বন্ধুটি এগেচ্ছিল। ডাকাতির জিনিস হাতিয়ে তা বিক্রির পর বিয়েটা সেরে ফেলবে বলে কথা হয়েছিল দু’জনের।