পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, চুঁচুড়ার ডন টোটন বিশ্বাসকে দুই সঙ্গী সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের হেফাজত থেকে একটি কার্বাইন সহ অনেক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই দুষ্কৃতী ও তার দলকে গ্রেপ্তার করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের একটি বিশেষ টিম শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে টোটনকে ধরে। আমরা ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। টোটনের বিরুদ্ধে সাতটি খুন, ব্যাঙ্ক ডাকাতি সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে বিভিন্ন থানায়।
হুগলির রবীন্দ্রনগরের সাধারণ সুপারি ব্যবসার আড়ালে বিরাট দুষ্কৃতী রাজত্ব কায়েম করেছিল টোটন বিশ্বাস। রবীন্দ্রনগরে সে কার্যত সমান্তরাল প্রশাসন চালাত। সিসি ক্যামেরা, সাধারণ পোশাকের নজরদার দিয়ে চুঁচুড়া শহরের মধ্যে থাকা ওই এলাকাকে সে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছিল। একাধিকবার পুলিসের জালে ধরা পড়ার পরে সম্প্রতি পৌনে দু’বছর ধরে সে জেলের বাইরে ছিল। তার অপরাধমূলক কাজের পরিধি এতটাই ছিল যে, পুলিসের কাছেই সে ‘ডন’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। গত জুলাইতে রবীন্দ্রনগরে এই ডনের ডেরাতেই হানা দিতে গিয়ে পুলিসকে গুলিবৃষ্টির মুখে পড়ে পিছু হটতে হয়। তারপর থেকেই পুলিস যেমন তৎপর হয়েছিল তাকে ধরতে, তেমনই সেও পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস চুঁচুড়া স্টেশন লাগোয়া ধান্য গবেষণাগারে হানা দেয়। সেখানেই নিজের সঙ্গীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল হুগলির ত্রাস টোটন। তার সঙ্গীরা অনেকেই পালিয়ে যেতে পারলেও টোটন ও তার দুই সঙ্গী প্রবীর মণ্ডল এবং কিশোর বিশ্বাস ধরা পড়ে যায়।
পুলিস জানিয়েছে, শুধু হুগলিতেই নয়, জেলার বাইরেও টোটনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। একাধিক খুনের সঙ্গে ব্যাঙ্ক ডাকাতির মতো কাণ্ডও সে ঘটিয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, সময়ের সঙ্গে কতটা শক্তিশালী সে হয়েছিল কার্বাইনের মতো অস্ত্রই তার প্রমাণ বহন করছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ইনসেটে ধৃত টোটোন।- নিজস্ব চিত্র