পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রত্যেকটি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিকাঠামো মান্ধাতার আমলের। নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি। জরুরিকালীন সময়ে কীভাবে উদ্ধার করা হবে, তার কোনও মক ড্রিল হয় না। অডিটরদের কথায়, ‘কী করতে হবে এবং কী নয়’ তার একটি বোর্ড বসানো প্রয়োজন। শহরের কোনও সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই এই বোর্ড নেই। কোনওরকম আধুনিক পরিকাঠামো ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি ক্লাবগুলি। সুইমিং পুলের জলের মান এতটাই খারাপ, যে শিক্ষানবিশদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গঙ্গা থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সুইমিং পুলে জল আনা হয়। কিন্তু সেই অপরিচ্ছন্ন জলেই চলে প্রশিক্ষণ। সাঁতার শেখার সময় ওই জল পেটে ঢুকে শিক্ষানবিশ ছোট ছোট শিশুদের শরীরে নানারকম ব্যাক্টিরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এখানেই শেষ নয়, জল ঘোলাটে থাকায় শিক্ষানবিশরা যদি চোখের আড়ালে চলে যায়, তাহলে তাদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষানবিশদের অনুপাতে ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই বলে রিপোর্টে দাবি করেছেন অডিটররা।
মহম্মদ শাহবাজের মৃত্যুর পর লাইফগার্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অডিটররা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখেছেন, সেই প্রশ্ন যথার্থই। রিপোর্টে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ক্লাবগুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে ভীষণভাবেই দুর্বল। লাইফগার্ড রাখার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা প্রায় কোনও ক্লাবেরই নেই। ক্লাবগুলির ফি বাবদ আয় খুবই কম। ফলে ক্লাবগুলি চলছে কোনওরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অডিটরদের পরামর্শ, লাইফগার্ড না থাকলেও অন্তত শিক্ষানবিশরা যাতে কম জল থেকে গভীর জলে না যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত ক্লাবগুলির। প্রয়োজন লাইফগার্ড চেয়ারেরও। এমনকী, সুইমিং পুলের জল কতটা গভীর, তা চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা করা উচিত। দু’দিকের জল সীমানার মাঝে অন্তত চার ফুটের গার্ড রাখতে হবে। যাতে শিক্ষানবিশরা সহজে তা টপকে যেতে না পারে। রাখতে হবে ৭ ফুটের লাইফগার্ড চেয়ার। যেখানে বসে শিক্ষানবিশদের উপর নজর রাখা যায়। রিপোর্টে এই পরামর্শ দিতে গিয়ে অডিটররা উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালের পুল সেফটি ম্যানুয়াল কোনওভাবেই মানছে না ক্লাবগুলি। শিক্ষানবিশদের নিরাপত্তার জন্য যা যা উপকরণ থাকা প্রয়োজন, তার ১০ ভাগও নেই। মজুত থাকে না প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও। তবে অডিটররা গোটা রিপোর্টে দু’টি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। প্রথমত, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার ফর্মে আবেদনকারীরা আবশ্যিকভাবে তাদের কোনওরকম শারীরিক রোগ থাকলে তা উল্লেখ করবে। ক্লাবে একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক রাখা দরকার। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তার কারণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর লাইফগার্ড প্রোফিসিয়েন্সি টেস্ট করাতে হবে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে।