পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এমন বৃষ্টিতে সমস্যার কথা বলছিলেন শিল্পী রঞ্জিত পাল। তিনি বলেন, এবার জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির দেখা ছিল না। ফলে কাজকর্ম সেই সময়টায় ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এখন বেশ সমস্যা হচ্ছে। যত দিন এগিয়ে আসছে, চাপ বাড়তে থাকবে। টানা রোদের এক-দু’দিন না পেলে কাজ করা খুব মুশকিল হবে। আরেক শিল্পী নিত্যানন্দ পাল বলেন, আর ক’দিন পরেই গণেশপুজো। গণেশমূর্তিতে রং করার কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু যেক’টিতে বাকি আছে, সেগুলি আর করা যাচ্ছে না। স্টোভ জ্বালিয়ে মূর্তি শুকনো যায়, কিন্তু তা খুব একটা ভালো হয় না। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে স্টোভ জ্বালিয়েই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গণেশমূর্তি বেরিয়ে যাওয়ার পরই বিশ্বকর্মা মূর্তির চূড়ান্ত কাজে হাত দিতে হবে। আর এসবের মধ্যেই যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখতে হবে দুর্গাপ্রতিমার কাজ। তাই এই সময়টায় প্রত্যেকদিন এরকম বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত আমাদের ভালোই ভোগাচ্ছে।
গণেশপুজো হয়ে গেলে মহারাষ্ট্রে মূর্তি তৈরি করতে যাওয়া বহু কারিগর কুমোরটুলিতে ফিরে আসবেন। অন্যান্য মূর্তির চাপ কমে যাওয়ায় তখন একযোগে দুর্গাপ্রতিমার কাজই করবেন শিল্পী-কারিগররা। সেই সময়টাও যদি এভাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত হয়, তাহলে সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হবে শিল্পীদের মধ্যে। কারণ, এখন মহালয়া থেকেই পুরোদমে প্রতিমা মণ্ডপমুখী হতে শুরু করে। তবে এমন পরিস্থিতির সঙ্গে শিল্পীরা কমবেশি অভ্যস্তই রয়েছেন। ফলে উদ্বেগ কাজ করলেও যেভাবে হোক কাজ উতরে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।