গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্য সরকার গৃহীত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সাধারণের কাছে যথাযথ পৌঁছচ্ছে কি না এবং না পৌঁছলে তার কারণ কী, সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে কি না, এসব জানতেই কাজ শুরু করে এই সেল। কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীকে মাথায় বসিয়ে কাজ চলা শুরু করে এই সেল। তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয় ডালহৌসি এলাকার একটি অফিস। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শাখা দপ্তর হিসেবে সেখানে যুক্ত করা হয় আইএএস এবং ডব্লুবিসিএস আধিকারিকদেরও। সাধারণের সঙ্গে গ্রিভান্স সেলের যোগসূত্র গড়তে দেওয়া হয় একটি টোল ফ্রি টেলিফোন (১৮০০০৩৪৫৮২৪৪) নম্বর, এসএমএস করার জন্য একটি টেলিফোন (৯০৭৩৩০০৫২৪) নম্বর এবং একটি মেল আইডি-wbcmro@gmail. com। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জনঅভিযোগ শাখা বা গ্রিভান্স সেলকে এক ছাতার নীচে নিয়ে আসার লক্ষ্যেই উত্তীর্ণ ভবনে ঢেলে সাজা হচ্ছে অফিস।
নবান্ন সূত্রের খবর, সাধারণের অভিযোগ মেলা মাত্রই তা যাতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারের কাছে দ্রুত পৌঁছে যায়, তার জন্য বিশেষ একটি সফটওয়্যারও তৈরি করা হয় গ্রিভান্স সেলের তরফে। গোড়ার দিকে অভিযোগের সংখ্যা কার্যত পাহাড় প্রমাণ হলেও, শাসকদল তৃণমূলের নিজস্ব কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ চালু হওয়ার পর থেকে সাধারণের ঝোঁক বাড়ে সেদিকেই। কার্যত রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ‘দিদিকে বলো’। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দিদিকে বলো’ আর গ্রিভান্স সেলের কাজের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। একটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক আঙ্গিকের, অন্যটি সরকারি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট। যদিও রাজনৈতিক অভিযোগও বিস্তর আসছে গ্রিভান্স সেলে।
গ্রিভান্স সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চালু হওয়ার পর থেকে গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টেলিফোন, এসএমএস এবং ই মেল’-এ আসা অভিযোগের সংখ্যা ২১,৫৬৫। এর মধ্যে সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে ৬,৫০০। যার সিংহভাগই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে সাধারণের থেকে কাটমানি আদায়ের অভিযোগ এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেলের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে ৫০০’র বেশি সমস্যার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সময়মতো প্রকল্পের সুবিধা মিলছে না, এরকম আরও ১৩০০ সমস্যার জট কাটানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৪টি জেলা ‘কভার’ করে ফেলেছেন গ্রিভান্স সেলের কর্তারা। সেলের এক কর্তা তো গত আড়াই মাসে ন’ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি চক্কর কেটেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রাত্রিবাসও করেছেন প্রত্যন্ত গ্রামে। এমনকী বীরভূমে বালি মাফিয়াদের দাপট প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে আক্রমণের হাত থেকে কোনওক্রমে রক্ষাও পেয়েছেন।