পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দিলীপবাবু বলেন, সমস্ত বিষয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে আলোচনার জন্যে নয়। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমার কাজ দলের সঙ্গে আমজনতার, তৃণমূলস্তরের কর্মীদের সেতুবন্ধন করা। আমি সেই লক্ষ্যে সদর্থক পদক্ষেপ করেছি। বহু মানুষ থাকেন বলেই সেইটি দল, ফলে বহু মত, মতান্তর থাকবে। সেটিকে মনান্তর বলে আমি ধরছি না। অন্যদিকে, বৈঠকে কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা প্রবীর ঘোষাল বলেন, আমি দলের কথা বাইরে বলতে চাইছি না। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাবতীয় পদক্ষেপ করছেন বিধায়কদের সামনে রেখে। দিদিকে বলো কর্মসূচিতেও সেই নীতিরই রূপায়ণ হচ্ছে। ফলে জেলাস্তরেও সেই নীতি নিয়েই চলা উচিত। দলের নীতি ও তার বাস্তব প্রয়োগে যে অসঙ্গতি সেটাই বৈঠকে বলেছি।
এদিন দুপুরে শেওড়াফুলিতে একটি হলে দলের জেলার বর্ধিত বৈঠক ডাকা হয়েছিল। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই দলের বিশ্বাসঘাতকতার প্রসঙ্গ তোলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীলবাবু। তিনি বলেন যে, একাংশের আত্মঘাতী গোল করার প্রবণতাই দলের খারাপ ফলের জন্যে দায়ী। সেই প্রবণতা এখনও বন্ধ হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীরবাবু দাবি করেন যে, বিধায়কদের এলাকায় তাঁদের মতামত না নিয়েই দলীয় কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য নেতৃত্ব বিধায়কদের সামনে রেখে রণকৌশল তৈরি করছে সেখানেই উলটো পথে হাঁটছে হুগলি। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কার্যত একাংশের বিধায়ককে হারিয়ে দিতেই যাবতীয় কৌশল করা হচ্ছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৈঠকের ভেতরেই চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। দলের এক পরিচিত নেতা বলেন, আদতে দলটা যে কিছুতেই ঐক্যের পথে আসছে না এদিনের বৈঠক তা আরও একবার বেআব্রু করে দিয়ে গেল।