বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পানিহাটি পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নিবারণপুর এলাকায় একটি ক্লাবের সামনে দুটি পুকুর ছিল। দুটি পুকুরের আয়তন প্রায় পাঁচ কাঠা করে। অভিযোগ, একটি পুকুর বছর দুই আগে সম্পূর্ণ বুজিয়ে ফেলা হয়। সেখানে গড়ে উঠছে বহুতল। পাশের পুকুরেও অসাধু চক্রের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। এখানেও চলছে নিয়মিত পুকুর ভরাট। ট্রাক্টরে করে বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে মাটি, ভাঙা ইট, রাবিশ। সেই সব ফেলা হচ্ছে পুকুরে। এলাকার বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তা কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে ফের শুরু হয়েছে মাটি ফেলা। শুক্রবার ছিল জন্মাষ্টমীর ছুটি। এদিন ভোরেই একটি ট্রাক্টর এসে মাটি ফেলতে শুরু করে। এলাকার এক প্রতিবাদী ঘোলা থানায় ফোন করেন। এলাকায় পুলিস এলে মাটি ফেলা বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ কাঠার এই পুকুরে সারা বছরই জল থাকে। এই এলাকাটি নিচু। অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে পড়ে যত্রতত্র। এই পুকুরটি ভরাট না হলে জলমগ্ন হওয়া থেকে কিছুটা রেহাই পেতেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরের অর্ধেক অংশ বোজানো হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা না নিলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই পুকুর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের পাবলিক গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শাসকদলের মদতপুষ্ট অসাধু চক্র এই পুকুর ভরাট করছে। এর পিছনে রয়েছে প্রোমোটাররা। পুকুর ভরাট করেই এখানে বহুতল গড়ে উঠবে। আগের পুকুরটির জমিতে এখন নির্মাণের কাজ চলছে। পানিহাটির বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রতি বছর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পুকুর থাকলে দুর্ভোগ থেকে বাঁচতেন শহরের বাসিন্দারা। জীববৈচিত্রের ক্ষেত্রেও পুকুরের ভীষণ প্রয়োজন রয়েছে। অথচ সেটাই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই পুকুর ভরাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পুকুর ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার অনির্বাণ সরকার। তিনি বলেন, আগের পুকুরটি ভরাট হয়েছে। এই পুকুরটিও ভরাটের চেষ্টা চলছে। যে ভাবেই হোক, এই কাজ আটকানো হবে। পানিহাটি পুরসভার প্রশাসক তথা বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর, পুলিস ও পুর প্রশাসনকে প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।