পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর জার্সি বদলের হিড়িক পড়েছিল। বিধায়ক, কাউন্সিলাররা দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিলেন। দলবদলের জেরে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, গারুলিয়া পুরসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে দলছুটদের ‘মোহভঙ্গ’ হয়েছে। দলছুট কাউন্সিলাররা ‘ঘর ওয়াপসি’ করছেন। শনিবার নৈহাটির ১০ জন প্রাক্তন কাউন্সিলার ও গারুলিয়ার দুই দলছুট কাউন্সিলার ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। প্রসঙ্গত, নৈহাটি পুরসভার মোট আসন ৩১। সবকটি আসনই তৃণমূলের দখলে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর নৈহাটি পুরসভায় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস ভাঙচুর হয়। প্রতিদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটছিল। আতঙ্কে চারদিন ঘরছাড়া ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। এরই মাঝে ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলার দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে নৈহাটি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় বিজেপি। সন্ত্রাসের আবহে পুরসভা চালাতে পারবেন না বলে চেয়ারম্যান ইস্তফা দেন। পরে রাজ্য সরকার নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসায়। এখন এই পুরসভায় বোর্ড নেই। সকলেই প্রাক্তন কাউন্সিলার।
‘ঘর ওয়াপসি’র ঘটনায় তৃণমূল ফের কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। নৈহাটি পুরসভায় বোর্ড না থাকলেও সেখানে এই মুহূর্তে সংখ্যা গরিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূলের পক্ষে। শাসকদলের এবার টার্গেট গারুলিয়া। এই পুরসভায় মোট আসন ২১। বিধায়ক সুনীল সিংয়ের নেতৃত্বে ১৬ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’ জন কাউন্সিলার ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন। ফলে এই মুহূর্তে তৃণমূল ১০, বিজেপি ১০ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন কাউন্সিলার রয়েছেন। অর্থাৎ একজন কাউন্সিলার তৃণমূলের পক্ষে এলেই পুনর্দখল হয়ে যাবে গারুলিয়া।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, গারুলিয়া দখল এখন সময়ের অপেক্ষা। আর একজন কাউন্সিলার এলে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হব। তারপরেই অনাস্থা আনা হবে। বিজেপিতে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন ওই দল কত বিপজ্জনক। ওখানে আরএসএস ছাড়া কাউকেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। মুকুল রায় যাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বিজেপির ওই নেতার হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, বনগাঁয় আমরা ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছি। ভাটপাড়াতেও অনেক কাউন্সিলার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা ভাটপাড়াকেও টার্গেট করেছি।
বারাকপুরের বিজেপি এমপি অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূলের এই স্বপ্ন কোনও দিনই পূরণ হবে না। গারুলিয়া আমাদেরই থাকবে। হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি সব পুরসভাই আমরা পুনর্দখল করব।