পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর গোটা রাজ্যের সব ব্রিজ-উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঠিক হয়, বছরে ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট ও নভেম্বর মাসে চারবার পরীক্ষা করবেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরা কোনও ত্রুটি দেখলে সেই ব্রিজ বা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখবেন সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেবেন জোনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার। এরপর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিজ মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ইন্সপেকশন সেলে রিপোর্ট করবেন। প্রতি মাসের রিপোর্ট সমীক্ষা নামে পূর্ত দপ্তরের পোর্টালে উল্লেখ করতে হবে। সেই পোর্টাল দেখে ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ তাপস মুখোপাধ্যায়, পূর্তসচিব অর্ণব রায় এবং পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সিদ্ধান্ত নেবেন।
চিফ ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই যেসব ব্রিজ বা উড়ালপুলের পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেরামতির প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করা হবে। সেগুলি মেরামত করবে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। এর জন্য চারটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেগুলি হল, রেলের অধীনস্থ সংস্থা ‘রাইটস’, দিল্লির ‘লাসা’, মুম্বইয়ের টিপিএফ এবং চৈতন্য কনসালট্যান্ট। রেললাইনের উপর ওভারব্রিজের (আরওবি) স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেরামতির জন্য রেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। একইরকম ভাবে জাতীয় সড়কের উপর থাকা উড়ালপুল, ব্রিজ বা কালভার্টের মেরামতির জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এনএইচএআই) কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে পূর্ত দপ্তর।
সেচ দপ্তরের হাতে থাকা প্রায় ৪০০ ব্রিজকে পূর্ত দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই জেলা পরিষদের অধীনে থাকা বড় রাস্তাগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরকে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার ব্রিজের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দপ্তর। তাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো সমীক্ষা পোর্টালে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, উড়ালপুলের অবস্থা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নর সভাঘরে রাজ্যের সব উড়ালপুলগুলির অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সবসময় নজরদারির জন্য এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি কোনও উড়ালপুলে অঘটন ঘটে, তার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে সংশ্লিষ্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার।