কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, বুধবার ধৃত রাঘিবকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর ভাই আরসালান ও মামাকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। যদিও এদিন আরসালানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও মামার বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়ার ধারা যুক্ত করা হয়েছে। দু’জনকেই পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে আদালতের কাছে।
গাড়ি দুর্ঘটনার পর শনিবার ধরা পড়েন আরসালান। কিন্তু তিনি যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না, তা বিভিন্ন নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জানতে পারে পুলিস। এরপরই বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় রাঘিবকে। জানা যায়, ঘটনার দিন প্রথমে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অধ্যক্ষের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দেন রাঘিব। সেখান থেকে এক বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে সল্টলেকে নামানোর কথা ছিল। এর মাঝে আরেক বন্ধুর ফোন আসায় তিনি গাড়ি কিড স্ট্রিটের দিকে ঘুরিয়ে দেন। কিন্তু সেখানেও কোনও কারণে যেতে না হওয়ায় তাঁরা সিগন্যাল ভেঙে শেক্সপিয়র সরণীর রাস্তা ধরেন। গাড়িতে তখন ওই দু’জনই ছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটে এর কিছুক্ষণ পরেই।
কেন গোটা বিষয়টি চেপে গেল আরসালানের পরিবার, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। আরসানালই বা কেন এই ঘটনা শুরু থেকেই গোপন করলেন এবং কার পরামর্শে করলেন, তার ব্যাখ্যা মেলেনি। পুলিসের ধারণা, তাঁকে কেউ এভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, সেই উত্তর এখনও অধরা। প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে এগিয়ে দেওয়া হল? তিনি ও পরিবারের লোকজন যুক্তি দিয়েছেন, প্রথমে তাঁরা চালককে এগিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাঁদের পরিচিত অফিসাররা জানান, কোনও সাধারণ চালক ওই গাড়ি চালাতে পারেন না। এরপর বাবা এগবেন বলে জানান। কিন্তু তাতে বাধা দেন ছোট ছেলে ও পরিবারের অন্যান্যরা। শেষ অবধি আরসালান নিজের কাঁধেই দায়িত্ব তুলে নেন। যদিও এই সহজ ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করছে না পুলিস।