রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুই আগে এই হাজিরা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিজ্ঞানেরই একটি বিষয়ে থিওরি ক্লাসে হাতেগোনা পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। অথচ ল্যাবরেটরিতে সবাই এসেছেন। ফলে যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে। হাজিরা বাড়াতে তাই ল্যাবরেটরি ক্লাসও বন্ধ করে দিয়েছিলেন কয়েকজন অধ্যাপক। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে হাজিরা নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সায় রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, এমনটা সব বিভাগে হলে ভালোই। ক্লাস করার প্রবণতা বৃদ্ধি করতেই এই উদ্যোগ। পড়ুয়ারা ক্লাস করে না বলে, খাতায় হাজিরা নথিভুক্ত করার পাঠও প্রায় চুকে গিয়েছে। কোনও হিসেবই আর রাখা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার হার ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় তা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সেই প্রবণতা বেশি বলেই শিক্ষকরা জানিয়েছেন। শুধু সাপ্লিমেন্টারি নয়, স্পেশাল সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ঝোঁকও ক্রমবর্ধমান। ক্লাস না করার ফলে অনেকেই সেমেস্টার পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হচ্ছেন। আর তার জন্য এই সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া চতুর্থ বর্ষে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্পেশাল সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এতে শিক্ষকদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। যতক্ষণ না পড়ুয়ারা পাশ করছেন, ততক্ষণ প্রশ্ন তৈরি, তার মূল্যায়ন ইত্যাদি কাজের বোঝা থেকেই যায়। আর এসবের জেরে পরীক্ষার ফল প্রকাশেও বিলম্ব হয়।