পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া চৌমাথা এলাকার জমাদার পাড়ার বাসিন্দা নির্মল রায়। বাড়িতে স্ত্রী মালতি রায় ছাড়াও তিন ছেলে ও বউমারা রয়েছেন। অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার রাতের খাবার খেয়ে সপরিবারে ঘুমিয়ে পড়েন রায় পরিবারের সদস্যরা। রাত ১টা নাগাদ প্রায় ১৫ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে পরিবারের সদস্যদের মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। বন্দুকের বাঁট ও লোহার রড দিয়ে মুখে কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীরা নির্মলবাবু ও মালতিদেবীকে মারধর করে। তাঁদের বাঁচাতে আসা ছেলে ও বউমাদেরও বেধড়ক মারধর করে। চিৎকার, চেঁচামেচি ও কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের বাড়ির লোকেরা ঘরের আলো জেলে বের হতে শুরু করেন। তখন দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি বোমা ফাটিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়।
কী কারণে দুষ্কৃতীরা এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে গেল তা নিয়ে হতবাক রায় পরিবার। মালতিদেবী বলেন, রাত ১টা নাগাদ আচমকাই মুখে কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীরা গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা ঘরের ভিতরের লাইট ভেঙে মারধর শুরু করে। বন্দুকের বাঁট ও লোহার রড দিয়ে সকলকে মারধর করে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালানোর পর তারা দুটি বোমা ফাটিয়ে চলে যায়। ওদের অনেক করে মারধর না করার অনুরোধ করেছিলাম। ওরা কিছু জিনিস নিয়ে গেলেও এত কষ্ট হতো না। আমাদের কোনও শত্রু নেই। কোনওদিন কারোর কোনও ক্ষতি করিনি। কারা কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটাল কিছুই বুঝতে পারছি না।