দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফিরদৌস পারভিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। প্রত্যেক পঞ্চায়েতে এই বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো আছে। যে কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মেরামতি বা নির্মাণের প্রয়োজন হলে তা অবিলম্বে জানাতে। অভিভাবক অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব। অভিযোগ পেলে দ্রুত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে শৌচালয় সহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তৈরি করার ব্যবস্থা করা হবে।
২০১০ সালে নছিপুর বারোয়ারিতলায় বাঁশ আর মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। দামোদর নদের পাশে হওয়ায় বছর দুয়েক আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। ত্রিপল দিয়ে ঘিরে পুনরায় স্কুল চালু করা হয়। ত্রিপল আর মাটির ফাঁকে বাসা বাঁধে সাপ। মাঝে মাঝে স্কুল চলাকালীন সাপের উপদ্রবে সমস্যায় পড়েন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষিকা সকলে। প্রতিদিন স্কুলের সমস্ত জিনিস পাড়ারও কোনও বাড়িতে রেখে আসতে হয় শিক্ষিকাকে। সহায়িকা নেই, তাই অগত্যা শিক্ষিকা টুসু হাটিকে রান্না করে খাওয়াতে হয় শিশু ও মায়েদের। বর্তমানে স্কুলে মোট ২৮ জনের রান্না হয়। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ২০ জন।
শিক্ষিকা টুসু হাটি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অন্তর্গত ২২০ নং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এটি। সহায়িকা নেই, আমাকেই রান্না করতে হয় ও বাসন মাজতে হয়।ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াতে পারছি না। বর্ষার সময় চারদিক জল থইথই করে। তার উপর সাপের উপদ্রব। মাঝে মাঝেই সাপ দেখা যায় স্কুলে। পাড়ার কাউকে ডেকে সাপ তাড়িয়ে আবার পড়াশোনা শুরু হয়। পঞ্চায়েত, বিডিও ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দপ্তরে জানিয়েও কোনও সুফল পাওয়া যায়নি। অভিভাবকরাও এই কেন্দ্রে বাচ্চাদের পাঠাতে চাইছেন না। অবিলম্বে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি নতুন করে তৈরি করলে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।
অভিভাবিকা পূর্ণিমা অধিকারী বলেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে আমাদের বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় লাগে। চারিদিক ভাঙা, বৃষ্টি হলে বাচ্চারা ভিজে যায়। তার উপর সাপের উপদ্রব। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পড়াশোনা হয় না, শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি চলে যায় বাচ্চারা। প্রশাসনের এই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এই গ্রামেই থাকেন জেলা পরিষদের সদস্য অশোক হাজরা। এই কেন্দ্র থেকেই তিনি জয়লাভ করে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন। তাঁর এলাকাতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুরবস্থা দেখে অনেকেই যখন প্রশ্ন তুলছেন, তখন ছোট ছোট শিশুদের দুরবস্থা কেন চোখে পড়ছে না প্রশাসনের বা জেলা পরিষদ সদস্য অশোক হাজরার?